Date : 2024-04-16

১৫০০০ নিয়োগ কি ভাবে? প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে রিপোর্ট তলব।

স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই মামলা বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির হয়।ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছ থেকে নিযুক্ত হওয়া ১৫০০০ শিক্ষকের তালিকা চেয়ে পাঠালেন ।ওই তালিকা দেখেই আদালত বিচার করবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিল কি ছিল না।

আবেদনকারীদের বক্তব্য,২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ১৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীকালে দেখা যায় প্রায় ১২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু তাদের উপযুক্ত যোগ্যতার সংক্রান্ত নথি নেই। এই বিষয়টি আদালতের নজরে এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি বৃহত্তর স্বার্থ মন্তব্য করে জনস্বার্থ মামলার তকমা দেন।

আবেদনকারীর অভিযোগ শিক্ষক সঠিক তথ্য না দেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করে সংসদ। মামলা হতেই মামলাকারি শুধু নয় এই রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে।তাই বিষয়টি একার নয়,এটা জনস্বার্থের মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে।

প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। পরে ত্রুটি ধরতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ওই শিক্ষককে টেটের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বললেও তিনি তা দিতে পারেননি। ফলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রথমেই নথি না দেখে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে।কিন্তু পরে নথি না পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এর পরেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক ১২ জনের নামের তালিকা আদালতের কাছে দেন। তাতে তার অভিযোগ, এদের কারোর প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও তারা এখন চাকরি করছেন স্কুল শিক্ষক হিসেবে। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি নির্দেশ ২২শে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ওই তালিকা আদালতে জমা করতে হবে।আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।