Date : 2024-04-20

প্রচার শুরু মমতার। বাকিরা ব্যস্ত প্রার্থীর খোঁজে

সঞ্জু সুর রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন রাজ্যে তিনটি আসনে নির্বাচন ও উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে ৪ সেপ্টেম্বর। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশামতোই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জে আমিরুল ইসলাম ও জঙ্গীপুরে জাকির হোসেন জোড়াফুলের প্রার্থী হয়েছেন।

মূর্শিদাবাদের দুই প্রার্থীই নিজের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ব্যানার, পোষ্টারে প্রচার শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও। ৪ তারিখ সন্ধ্যাতেই নিজের এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপর মদন মিত্র কেও দেখা গিয়েছে দেওয়াল লিখনের কাজ করতে। মঙ্গলবার নিজের বাড়ির কাছেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

এবার নিজেই প্রচারে নামছেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার কর্মিসভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রচার কর্মসূচির সূচনা করবেন তিনি। এদিন বেলা সাড়ে তিনটায় চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে দলীয় কর্মিদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করবেন মমতা। কোভিড প্রটোকল মানার কারণে সভায় সবাইকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় নি। শুধুমাত্র আট টি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ও বুথ কর্মিদের ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকবেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশীষ কুমার রা। থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও। দলনেত্রীর প্রচার কর্মসূচি। স্বাভাবিকভাবে কর্মিদের উৎসাহ তুঙ্গে।
উল্টোদিকে বিরোধী কোনো দল ই প্রচার তো দুরের কথা, নিজেদের প্রার্থীর নাম‌ই ঠিক করে উঠতে পারেনি। প্রদেশ কংগ্রেস প্রথমে বলেছিলো ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রার্থী দিতে চায় না। কারণ হিসাবে তারা বলেছিলো, সদ্য যে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রামে হেরে গেলেও তাঁর নেতৃত্বে চলা সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে রাজ্যের জনগন। তবে ভোট ঘোষণা হ‌ওয়ার পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে প্রদেশ সভাপতি বলেছেন ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। যদিও শেষমেশ কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রদেশ কংগ্রেস ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে কংগ্রেসের অন্যতম জোট সঙ্গী সিপিএম তথা বামেরা এখনো ভেবে উঠতে পারেনি ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া ঠিক হবে না কি বলটা কংগ্রেসের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।

আর এক বিরোধী দল যারা এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলো যে রাজ্যে তারাই ক্ষমতায় আসছে, সেই বিজেপিও এখনো ভেবে উঠতে পারছে না যে উপনির্বাচনে আদৌ তারা লড়াই করবে কি না ! বিজেপির পক্ষ থেকে কখনো বলা হচ্ছে ভবানীপুরে ভোট ঘোষণা অবৈধ। তারা কোর্টে যাবে। আবার কখনও তাদের নেতারা প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করছেন। রুদ্রনীল ঘোষ থেকে ভারতী ঘোষ হয়ে প্রার্থী হিসাবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নাম‌ও টেনে আনা হচ্ছে।
বিরোধীদের এই ছত্রভঙ্গ অবস্থা হ‌ওয়া সত্ত্বেও কোনোরকম গা ঢিলেমি দেওয়া বা একটুকরো জমি ছাড়তেও রাজি নয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই তো স্বয়ং নেত্রী নিজেই নেমে পড়ছেন প্রচারে।