Date : 2024-04-25

পিএম কিষাণ সন্মাননিধি যোজনা। বাদ রাজ্যের পনেরো লক্ষ কৃষক।

সঞ্জু সুর রিপোর্টার : রাজ্যের কৃষকদের সাথে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। পনেরো লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ঢুকলো না পিএম কিষাণ সন্মাননিধি যোজনার টাকা। কৃষকদের বঞ্চনার কথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সামনেই উগরে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিটি জনসভায় নিয়ম করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কৃষকদের বঞ্চনা করার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বা অন্যান্য বিজেপি নেতারা বিভিন্ন জনসভায় বলেছেন রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় কেন্দ্রের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কৃষকরা। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন রাজ্যের পোর্টালে কৃষকদের বিষয়ে সব তথ্য আপলোড করা আছে। কেন কেন্দ্র সেই তথ্যকে মান্যতা দিয়ে টাকা পাঠাচ্ছে না ? রাজ্য তো এই পোর্টালের তথ্য থেকেই রাজ্যের কৃষকদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা দিয়ে থাকে। যদিও সেই বিষয়ে কেন্দ্র বা বিজেপি নেতারা কোনো উচ্চবাচ্য করেনি।
বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আরো একবার কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দেখা যায় রাজ্যের কৃষকদের জন্য প্রথম দফার টাকা পাঠায় কেন্দ্র। তবে সেই সময়েও প্রায় নয় লক্ষ কৃষক কে বঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠে।

সোমবার পিএম কিষাণ সন্মাননিধি যোজনা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী/কৃষিমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুশ গোয়েল। সেই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও দফতরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা। বৈঠকে রীতিমত তথ্য দিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন কেন রাজ্যের পনেরো লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হলো না।
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যের পক্ষ থেকে ৪৬.২ লক্ষ কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছিলো। তারমধ্যে কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রক ৩৮.৫১ লাখ কৃষকের নামে মান্যতা দেয়। কিন্তু তারপরেও দেখা যায় এরমধ্যে মাত্র ২৩.৭৭ লাখ কৃষককে দুই কিস্তির চার হাজার টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের মান্যতা দেওয়া বাকি ১৫ লক্ষ কৃষক কি দোষ করেছে ? প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর। এদিকে বৈঠকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান যে রাজ্য সরকার কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের নিজস্ব নতুন ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে ৬২ লক্ষ কৃষককে প্রথম দফার ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছে।