স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায় রিপোর্টার : প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশেই চলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ গুলি,
সেক্ষেত্রও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য পার্থক্য দেখা দিলে মোদি-অমিত শাহের মধ্যে পার্থ্যকের সমতুল্য হয়ে দাঁড়ায়, মন্তব্য বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২০ সালের২৩ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬,৫০০প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন।সেই মতো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিক প্যারা টিচারদের নিয়োগ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যা নিয়ন বহির্ভুত দাবি আবেদনকারীর আইনজীবির।
২০২১সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি মেধা তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।এর পর ওই মেধাতালিকা অনুযায়ী কাউন্সিলিং ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে।মামলাকারীর আইনজীবী সৌমিক প্রামানিকের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী মোট নিয়োগের ১০% প্যারা টিচার নিয়োগ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে।কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।তাঁরা অপার প্রাইমারি র ২৭৪ জনের প্যারা টিচাররের তালিকা থেকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কয়েকজন কে নিয়োগ করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী অপার প্রাইমারীর টিচাররা নিয়োগ হবে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদে, আর প্রাথমিক প্যারা টিচাররা নিয়োগ হবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে।
আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের পর ৫ জন উচ্চ প্রাথমিক প্যারা টিচারের বেতন বন্ধ করে দেয় শিক্ষা সংসদ।বিষয়টি আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কল্লোল বসু।বিচারপতির নির্দেশ করোনা ও বর্তমান আবহে বেতন বন্ধ করা খুবই দুঃখজনক ।এতে ওই শিক্ষকের অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন ।আদালত কখনই শিক্ষা সংসদ বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন।
শুনানির শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কে আগামী ৪ঠা অক্টোবরের মধ্যে জেলা ভিত্তিক কত জন কে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে।তাঁর মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক থেকে নিয়োগ করা হয়েছে সেই তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে।
আগামী ৭ ই অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি।