Date : 2024-04-25

আধুনিক ও বিশ্বমানের সিলেবাস তৈরি করতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : আধুনিক ও বিশ্বমানের সিলেবাস তৈরি করতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সর্বভারতীয় ও বিশ্বমানের বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় রাজ্যের সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়ারা যাতে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এই লক্ষ্যে প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাস ঢেলে সাজা হবে বলে জানা গিয়েছে।  

পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সিলেবাসকে আরও উন্নত এবং বিশ্বমানের করে তোলা হবে শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১সালে সিলেবাস কমিটি গঠিত হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনোর মান আধুনিক করার চিন্তাভাবনা থেকেই এই কমিটি গঠন করা হয়। ২০১২ সাল থেকেই কমিটি কাজ শুরু করে। সর্বভারতীয় স্তরে যাতে অন্য বোর্ডের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে রাজ্য বোর্ড,তার জন্যই সিলেবাস পুনর্গঠন এর কাজ শুরু করা হয়েছে। 

পাঠ্যক্রমে বদল সিলেবাস কমিটির তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সাল থেকেই পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয় । ২০১৩ সালে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ২০১৪ সালে প্রাক-প্রাথমিক,দ্বিতীয়,চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম শ্রেণির। ২০১৫ সালে নবম ২০১৬ সালে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম পুনর্গঠন করা হয়েছিল।

ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে ফের একবার সিলেবাস ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।  তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সরকার গঠনের পর ফের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাত্য বসু।  সূত্রের খবর, দ্বিতীয়বার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে আসার পর ফের সিলেবাস  পুনর্গঠনে উদ্যোগী ব্রাত্য বসু। তবে  এই কাজ দ্রুত শেষ হওয়া সম্ভব নয়।  প্রথমবার সিলেবাস পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কয়েকবছর ধরে ভাগে ভাগে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এবারের ক্ষেত্রেও সেরকমই ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গেছে।