Date : 2024-03-29

অর্থের অভাবে বন্ধ হতে বসা কলেজের দুয়ার খুললো মমতার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : দারিদ্রতার সাথে লড়াই করতে গিয়ে শেষ হতে চলেছিলো পড়াশুনার পর্ব। কিন্তু স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবার কলেজের দরজা খুলে গেল আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানে মানুষ হ‌ওয়া সৌরভ মিঞ্জ এর। আলিপুরদুয়ার এর মধু চা-বাগানের মেধাবী সৌরভ এবার নিশ্চিতভাবেই শেষ করতে পারবে তার বি-টেক পড়াশোনা।

বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর হলো। মা দিনমজুর। ছেলে সৌরভ মেধাবী ছাত্র। সংসারে অভাবের কারণে মামার বাড়ি থেকে চলছিলো তার পড়াশোনা। বিধি বাম। আশ্রয়হীন হতে হল সেখান থেকেও। এদিকে বেসরকারি ব্যঙ্ক থেকে ঋণ করে চলছিলো পড়াশোনা। এইভাবেই সাতটা সেমেস্টার শেষ করে ফেলেছিলো শিলিগুড়ির বেসরকারি কলেজে বি-টেক এর এই ছাত্র। কিন্তু অর্থের অভাবে দু’বছর ধরে শেষ সেমেস্টার শেষ করতে পারছিলো না সৌরভ।

একদিকে লকডাউন অন্যদিকে নতুন করে ঋণ পেতে সমস্যা। ফলে পড়াশোনা আর হবেই না,এমনটাই মনে হয়েছিলো দরিদ্র অথচ মেধাবী এই ছাত্রের। এই সময়েই তার সামনে আসে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের খবর। মনের মধ্যে একটা ক্ষীণ আসা নিয়ে আবেদন করে সৌরভ। একমাসের মধ্যেই সুখবর। শনিবার আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক এস কে মীনা সৌরভের হাতে তুলে দিলেন আবেদনের গৃহীত শংসাপত্র। এর ফলে কোর্স ফি-র এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা আর সৌরভ কে জোগাড় করতে হবে না। হঠাৎ করেই পড়াশোনার দরজা আবার খুলে যাওয়ায় খুশি সৌরভ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা তার নেই। এবার সে নিশ্চিতভাবেই বি-টেক এর পড়া শেষ করতে পারবে। তার পর এম-টেক। সেটাও সে করতে চায়। কিন্তু তার আগে একটা চাকরীর তার বড্ড প্রয়োজন। অভাবী মায়ের পাশে, প্রতিবন্ধী দিদির পাশে তাকে দাঁড়াতে হবে।

সৌরভের মতো অসংখ্য মেধাবী দরিদ্র ছাত্র এইভাবেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কে হাতিয়ার করে আগামি দিনে সফল হোক।