মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : প্রায় ২০ বছর লড়াইয়ের পর, আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। এবার আমেরিকাকে অস্বস্তিতে ফেলতেই তারা নিত্যনতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে।ইতিহাসের পাতায় ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৯/১১ কতটা কুখ্যাত,তা সকলেই জানে। সেই দিনকে স্মরণে রেখে,আমেরিকাকে অস্বস্তিতে ফেলতেই তালিবান এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
প্রায় ২০ বছর আগে আমেরিকার উপরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেন সেসময় ছিল আফগানিস্তানে। তাই পাল্টা হামলা চালাতে আফগানিস্তানে হানা দিয়েছিল মার্কিন সেনা। আমেরিকার সেই আক্রমণের পরই কার্যত আফগান মুলুকে ক্ষমতা হারায় তালিবান। দীর্ঘদিন পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবানরা। তাই আমেরিকাকে খোঁচা দেওয়ার জন্য সেই দিনটিকে বেছে নিয়ে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান করতে চলেছে তারা। এভাবে আমেরিকাকে খোঁচা দেওয়াটাই জেহাদিদের উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই নিয়ে এখনও তালিবানের তরফে কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয়নি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যে চিন,তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, কাতার, আমেরিকার পাশাপাশি ভারতকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান। পাশাপাশি আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে বার্তা দিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র। চিন-সহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলেও জানায় তালিবান।ক্ষমতায় আসার বলে বদলে গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়। তারপরই মেয়েদের উপরে ফতোয়া, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির মতো পদক্ষেপ তালিবানের আসল রূপ প্রকাশ্যে এনেছে। সবমিলিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিলেও, বিশ্বের বেশির ভাগই দেশ তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছে।