Date : 2024-04-19

রাজ্যের “দুয়ারে রেশন” মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখলো হাইকোর্ট।

স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : “দুয়ারে প্রকল্প” নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছিল শুক্রবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ কর দাবি করেছিলেন সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। কেন্দ্রীয় সহকারী ঠিক করে দেয় কিভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে রাজ্য সরকার গুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক রেশন দোকান থেকে ন্যায্যমূল্যে উপভোগতারা রেশন পেয়ে থাকেন। সুতরাং এই সিস্টেমকে বদলাতে পারে না রাজ্য সরকার।

দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে শিবির গড়ে বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। একই ভাবে রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি রেশনসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করলেও এক শ্রেণির ডিলারের বক্তব্য, এটা কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে তাঁদের মামলার শুনানি পর্ব শুক্রবার শেষ হল বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের বাড়ি বাড়ি রেশন প্রকল্পের বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা করেছেন, সেই রেশন ডিলারদের বক্তব্য, এই প্রকল্প রেশন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধী তো বটেই। উপরন্তু এর ফলে ডিলারদের উপরে আর্থিক বোঝা বাড়বে। সব গ্রাহকের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো লোকবলও নেই ডিলারদের। এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেন তিনি ।

এই প্রকল্পের কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি পাশাপাশি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। সেই পরিকাঠামো রেশন ডিলারদের নেই বলে জানান মামলাকরিদের পক্ষ থেকে।

ডিলারদের আর দাবি, আইন অনুযায়ী রেশন প্রাপক দোকানে এসে রেশন নেবেন এটাই নিয়ম। বাড়ি গিয়ে রেশন দেবার জন্য ডিলারদেরই গাড়ির খরচ, প্রচারের খরচ এবং সংরক্ষণের খরচ বহন করতে হবে বলে জানিয়ে সরকার। এই বিপুল খরচ তারা বহন করতে পারবেন না বলে দাবি ডিলারদের। রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি রেশনসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করলেও এক শ্রেণির ডিলারের বক্তব্য, এটা কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে তাঁদের মামলার শুনানি পর্ব শুক্রবার শেষ হল বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।রাজ্য সরকারের বাড়ি বাড়ি রেশন প্রকল্পের বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা করেছেন, সেই রেশন ডিলারদের বক্তব্য, এই প্রকল্প রেশন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধী তো বটেই। উপরন্তু এর ফলে ডিলারদের উপরে আর্থিক বোঝা বাড়বে। সব গ্রাহকের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো লোকবলও নেই ডিলারদের।

পাশাপাশি এত লোকবল তাদের নেই বলে দাবি করেন মালাকারীরদের পক্ষের আইনজীবি।তিনি বলেন দিল্লিতেও এই ধরনের প্রকল্প আনার চেষ্টা হয়েছিল, কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি বলে দাবি মামলাকারিদের। রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এদিন আদালতে জানান,দুয়ারে রেশন প্রকল্প যৌথ লিস্টে রয়েছে রেশন ব্যবস্থা সংক্রান্ত আইন। সাধারণ মানুষ বা উপভোক্তাদের কথা ভেবেই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে।

অন্যদিকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপভোগ তাদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানোর আর্জি জানালেন আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।এজি আরও বলেন প্রাপকের সুবিধার্থে তারা আইন সংস্কার করতে পারেন। এতে ডিলারের অধিকার ক্ষুন্ন হয়না।রাজ্যের নির্দেশ মেনে চলতে ডিলার বাধ্য।পরিবহন এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে সাহায্য করছে বলে দাবি রাজ্যের।এটা একটা পরীক্ষা মুলক প্রকল্প, শুধু সেপ্টেম্বর মাসের জন্য। প্রকল্পের গ্রহনযোগ্যতা দেখে বাকি সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন AG।