ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,রিপোর্টার : তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিকেলে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচার শেষে সরাসরি চলে আসেন কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করলেন তিনি।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর বিজেপির সিম্বলে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুকুল রায়।বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করেন মুকুল রায় ।যদিও বিধানসভায় বিরোধী আসনেই তাকে বসতে হয়েছিল। সময় ঘুরতে না ঘুরতেই তৃণমূল ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ।সেই যোগদান নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জল ঘোলা।
বিধানসভায় পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনেও দেখা গেল মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি। গত মে মাসে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় মুকুল রায় কে ।একদিকে একদিকে বিধানসভায় পিএসএ শুনানি চলছে অন্যদিকে বিজেপির আরো এক বিধায়ক অম্বিকা রায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মুকুল রায় কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন ।যে মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায় কে চিঠি দিয়ে জানতে চান কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নাবিজেপি। প্রত্যুত্তরে এ বিষয়ে কোনো উত্তরই দেননি মুকুল রায়, চিঠি দেওয়ার তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভবিষ্যতে যে সমস্ত বিধায়করা ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন তাদের সকলের বিরুদ্ধেই আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হাইকোর্টে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিধান পরিষদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।