Date : 2024-04-29

আবার ঘর ওয়াপসি। তবে এবার ঘরে ফিরলেও থাকতে হবে বাইরে।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছুটা ২০১৯ সালের শেষের দিকে দলে দমবন্ধ হয়ে পড়ায় দল ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন অন্য দলে। প্রায় বছর দুয়েক বিজেপিতে কাটিয়ে আবার তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন সব্যসাচী দত্ত। কথাবার্তা প্রায় পাকা। এবার শুধু শুভ লগ্ন দেখে ফেরার অপেক্ষা।

বছর দুয়েক আগে কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে ঘটা করে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজারহাট নিউটাউন এর তৎকালীন বিধায়ক তথা বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তণ মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরেই সদ্য প্রাক্তণ দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষ্ফোরক মন্তব্য‌ও করেছেন তিনি। তাঁর “পচা আলু” মন্তব্য তো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো সেই সময়। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে বিধাননগর কেন্দ্রে প্রার্থী করে। উল্টোদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন সুজিত বসু। শোনা যায়, দু’জনে যখন একসাথে তৃণমল কংগ্রেসে ছিলেন তখন‌ও তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট উষ্ণ (!) সম্পর্ক ছিলো। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বেও একে অপরকে লক্ষ্য করে দু’জনেই যথেষ্ট উষ্ণ বক্তব্য রেখেছেন। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সুজিত বসু প্রায় আট হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তাঁর আর্চ রাইভাল সব্যসাচী দত্তকে। সেই সব্যসাচী‌ই আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। অনন্ত তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে তেমনটাই খবর। কিন্তু সব্যসাচী ফিরতে চাইলেই বা সুজিত বসু তাঁকে মেনে নেবেন কেন ? আপত্তি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় রাজারহাট নিউটাউন এর বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জীর ও। শোনা যায়, সুজিত বসুকেই বলা হয়েছে তাপস চ্যাটার্জী কে বোঝানোর জন্য। পাশাপাশি সুজিত বসুকেও বলা হয়েছে সব্যসাচী দলে ফিরলে যেন কোথাও কোনো বিরোধ না হয় সেটা নিশ্চিত করতে। সূত্রের খবর, সব্যসাচী দত্ত কে এলাকার বাইরে কাজে লাগানোর রফাতেই শান্ত হয়েছেন সুজিত, তাপস। এও শোনা যাচ্ছে, ২০১৬-র মতো সব্যসাচী দত্তকে আবার উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোর জন্য কাজে লাগানো হবে। তবে সেক্ষেত্রে আপাতত ত্রিপুরা তাঁর কাজের এলাকার বাইরে থাকবে। এদিকে কয়েকদিন আগেই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি তালিকা প্রকাশ করেন, যে তালিকা অনুযায়ী সব্যসাচী দত্তকে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির ইনচার্জ করা হয়েছে। যদিও এখনো সব্যসাচী দত্ত কে দলীয় কাজে সেখানে দেখা যায় নি। তিনি তৃণমূলে ফিরছেন কিনা এই প্রশ্ন করলে জল্পনা জিইয়ে রেখে সব্যসাচী দত্ত আর প্লাস নিউজকে বললেন, “কে কোথায় কি জল্পনা ছড়াবে, তার উত্তর আমি কি দেবো। আজ মহালয়া, পুজো শুরু। পুজো আনন্দে কাটান।” সব্যসাচী দত্ত এড়িয়ে গেলেও জল্পনা কিন্তু তার ডালপালা মেলেছে। যদি শেষমেশ সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ফের সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।