Date : 2024-04-25

Digha : মুকুটে মেরিন ড্রাইভ। দীঘায় চলছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের কাজ।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : দীঘা মন্দারমনি মেরিন ড্রাইভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো এটি স্বপ্নের প্রকল্প। ১৮১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু করার পরেও আপাতত কিছুটা ধীরে চলার নীতি নেওয়া হয়েছে। তিনজন ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পর সবকিছু খতিয়ে দেখে তারপর আবার পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে।

সমুদ্র সৈকত এর ধার ঘেঁষে ৪.৩৩ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের এই ড্রাইভে তিনটি সেতু নির্মাণ করতে হবে। এরমধ্যে নয়াখালি সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৮৭.৯২ মিটার, জালদা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০৮.৯৬ মিটার ও শৈলা তে তৃতীয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৭১৬.২৮ মিটার। তিনটি সেতু সহ এতটা বড় ড্রাইভ ওয়ে তৈরি করতে গিয়ে যে বিষয়টা নির্মাণ সংস্থাকে মাথায় রাখতে হচ্ছে তা হলো প্রকল্পের ভূপ্রকৃতিগত অবস্থান। সমুদ্রের তীর বরাবর হ‌ওয়ায় জোয়ার ভাটার বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ‘ইয়াস’ বা আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের বিষয়টিও। সাম্প্রতিক ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ে দীঘা সৈকত তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা গিয়েছে। জলের তোড়ে ওল্ড দীঘা ও নিউ দীঘার সংযোগকারি সমুদ্রের পাশের অনেকটা রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছিলো। এদিকে ঘূর্ণিঝড় এখন একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করার মতো প্রযুক্তি যুক্ত নির্মাণ করতে হবে। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা মূলতঃ কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট, ভার বহন ক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে সমুদ্রের আর্দ্র জল হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা প্রভৃতি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে। এই প্রসঙ্গে সেচ মন্ত্রী সোমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, “একাধিক সমুদ্র সৈকত কে যুক্ত করবে এই সেতু। টেকনিক্যালি অত্যন্ত জটিল এর নির্মাণশৈলী। তাই ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “যেহেতু এটি মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প, তাই কোনো খামতি রাখা যাবে না। প্রতিটা ছোটোখাটো বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই কাজ করা হবে।” পুরো প্রকল্পের কাজ সেচ দফতরের আওতাধীন হলেও রাস্তা ও সেতু তৈরির কাজ করছে পূর্ত দফতর। সূত্রের খবর, আপাতত ধীরে চললেও বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পর ২০২২ এর পুজোর আগেই এই কাজ শেষ করে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা।