Date : 2024-04-26

Alipurduar : ১০০ শতাংশ জাতিগত শংসাপত্র প্রদান। রাজ্যে প্রথম আলিপুরদুয়ার মহকুমা।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : একমাস ধরে চলা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শেষ হয়েছে কিছুদিন হলো। ‘লক্ষীর ভান্ডার,’ ‘স্বাস্থ্য সাথী,’ ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড,’ ‘কৃষক বন্ধু’ থেকে শুরু করে বিপুল সংখ্যার আবেদন জমা পড়ে ‘জাতিগত শংসাপত্র’-র জন্যেও। ইতিমধ্যেই জমা পড়া সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনগুলো। মূলতঃ মহকুমা স্তরেই শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছে। আর এই কাজে রাজ্যের সব মহকুমার মধ্যে ১০০ শতাংশ শংসাপত্র দিয়ে প্রথম স্থানে আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ার মহকুমা।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আলিপুরদুয়ার মহকুমায় মোট জাতিগত শংসাপত্রের জন্যে আবেদন জমা পড়ে ৮৭,৬০০ টি। তারমধ্যে ঝাড়াই বাছাই করে যোগ্য আবেদনকারী মোট ৭০,১৬২ জনকেই শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা জমা পড়া যোগ্য আবেদনপত্রের নিরিখে ১০০ শতাংশ। সারা রাজ্যে কোনো একটি মহকুমা কে ধরলে যা সর্বাধিক। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদহ জেলার মালদহ সদর মহকুমা। এই মহকুমায় মোট জমা পড়া ৭৯,১৫৫ টি আবেদনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে ৬২,০৯২ টি। এরপরের স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর মহকুমা যেখানে ৫৩,৮৯৪ টি আবেদনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫২,০৯৫ টি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। হুগলী জেলার হুগলী সদর মহকুমায় ৬৬,৮৬১ টির মধ্যে ৫১,১৪৫ টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় ৫০,২৮১ টির মধ্যে ৪৯,৫৭৬ টি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমায় ৫০,৫৭৩ টির মধ্যে ৪৫,৯৫৩ টি, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমায় ৪৭,৯৭৪ টির মধ্যে ৪৫,০৫১ টি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৬৯ টি মহকুমায় জাতিগত শংসাপত্রের জন্যে মোট আবেদন জমা পড়ে ১৪,৭৩,৮৩২ টি। তারমধ্যে ইতিমধ্যেই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে ১৩,০১,৬৭৭ টি। সব মিলিয়ে সারা দেশের নিরিখে এক মাসের একটি সরকারি ক্যাম্প করে এতবেশি সংখ্যক জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন নবান্নের আমলা মহল।