Date : 2024-04-20

KMC : প্রাপ্য বকেয়া না দিলে পুজোর আগেই গণ ছুটির হুঁশিয়ারি কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায় রিপোর্টার: করোনা অতিমারি মধ্যেও আধিকারিকদের নির্দেশ মেনে দুর্গা পূজায় কাজ করেছিলেন।বলা হয়েছিল তাঁদের টিফিন বাবদ খরচ দেওয়া হবে। বছর ঘুরলেও মেলেনি প্রাপ‍্য বকেয়া।পাশাপাশি পদোন্নতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের টালবাহানা,উদাসীনতার অভিযোগে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা।এদিন দুপুরে কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মেয়র গেটের সামনে এনিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।।বিগত বছরে দূর্গাপূজায় নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে ডিউটি করা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীদের টিফিন সহ বিভিন্ন ভাতা বকেয়া রয়েছে পড়ে আছে।আবারও পুজো এসে গেলেও একাধিকবার এনিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও মেলেনি কোনও সুরাহা।সে কারণেই এদিন বিক্ষোভ থেকে সরব হয়ে কর্মরত ইঞ্জিনিয়াররা। অবিলম্বে প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।পাশাপাশি পদোন্নতির বিষয়েও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিরুদ্ধে সরব হন। সম্প্রতি কলকাতা কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির বিষয়ে বর্তমানে চালু নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়েছে কর্পোরেশনের নীতি নির্ধারক কমিটি।নতুন নিয়মে বিভাগীয় সাব ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির সুযোগকে সংকলিব করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছেবলে অভিযোগ।এর বিরোধিতা করে “কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইঞ্জিনিয়ার্স আ্যন্ড অয়ালায়েড সার্ভিস আ্যসোসিয়েশনে”র সভাপতি পার্থ গুপ্ত জানিয়েছেন- কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর আর( রিক‍্যুটমেন্ট রেগুলেশন) টি কর্পোরেশনের কাজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখে ১৯৮৬ সালে রাজ‍্যসরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে গৃহীত হয়েছিল।তাই এই নিয়মের বৈধভাবে প্রশ্নাতীত।নিয়ম অনুসারে আ্যসিস্ট‍্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের জন‍্য ৫০ শতাংশ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের সুযোগ থাকে এবং বাকী ৫০ শতাংশ এর ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নূন্যতম স্নাতক শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্নকারীদের নিয়োগ করা হতো।পরবর্তীতে বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করায় নাগরিক পরিষেবার উন্নতির স্বার্থে মূল “আর আর এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কিছু পরিমার্জন করা হয়।ফলে পঞ্চাশ শতাংশ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের সুযোগ অক্ষুন্ন রেখে বাকি পঞ্চাশ শতাংশ এর মধ‍্যথেকে ১৫ শতাংশ বিভাগীয় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিগ্রি প্রার্থীদের দিয়ে সংরক্ষিত করা হয়।এবং বাকি ৩৫ শতাংশ পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ করা হয়।ফলে,সামগ্রিক ভাবে সুসংহত পরিষেবার স্বার্থে বর্তমান এই নিয়মের পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিষ্প্রয়োজন।তাছাড়া প্রত‍্যেক কর্মী ই তার কর্মজীবনে একবার অন্তত পদোন্নতি আশা করেন।যে পদোন্নতি পেতে ২০ থেকে ২৫ বছর অতিবাহিত হয় এরপর নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে তাদের সঙ্গে এধরনের তঞ্চকতা কেন? এই প্রশ্ন তুলে এদিন বিক্ষোভ থেকে সংগঠনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মানস সিনহা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান তাঁদের দাবি কতৃপক্ষ না মানলে আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন।