Date : 2024-04-23

পুজোর শেষবেলায় লাভের মুখ দেখছে প্রতিমা রং ব্যবসায়ীরা

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : করোনার প্রভাব দুর্গাপুজোতেও। ক্ষতির মুখে লক্ষ-লক্ষ মানুষ। প্রতিমার অপেক্ষাকৃত কম অর্ডার ও বাজেটে কাটছাঁট হওয়ায় কম বিক্রি হচ্ছে মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত রং। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর কিছুটা হলেও বাজার ভালো, এমনটাই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। পুজো যত এগিয়ে আসছে ততই লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
লাল, হলুদ, গোলাপি, সবুজ, বেগুনি। এই সব রঙ দিয়েই দেবী দুর্গাকে সাজানো হয়। কোনও রঙে রাঙিয়ে তোলা হয় দেবীর মুখশ্রী। কোনও রঙ ব্যবহৃত হয় দেবীর হাত, গলা সহ দেহের বাকি অংশে। দেবীর পোশাক তৈরি হয় নানা রকমের উজ্জ্বল রঙ দিয়ে। খড়, মাটির কাঠামোতে রঙের ছোঁয়া লাগলে যেন নিমেষে মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন দেবী দুর্গা। অন্যান্য বছর এই সময়ে দুর্গা প্রতিমায় রঙ করা শুরু করে দেন শিল্পীরা। এক পরত রঙ শুকোলে তবেই অন্য পরত লাগানো যায়। তাই পুজোর অনেক আগেই কাজ শুরু করতে হয় মৃত্শিল্পীদের। বিগত বছর সেই ছবি একে বারেই আলাদা ছিল। করোনার ফলে প্রতিমার অর্ডার এক ধাক্কায় অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে এবছর লক্ষ্মী লাভের আশায় রং ব্যবসায়ীরা। যত পুজোর দিন এগিয়ে আসছে রং বিক্রির বাজার ভালো হচ্ছে এমনটাই জানাচ্ছেন রং ব্যবসায়ীর একাংশ। সিংহভাগ শিল্পী ফেব্রিক কালারের বদলে হাতে তৈরি খড়িমাটির রঙ দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। তবে এবছর রংয়ের দাম বেড়েছে। কিলো দরে 70 থেকে 80 টাকা দাম বেড়েছে রংয়ের। এমনটাই জানালেন রং বিক্রেতারা।
করোনা বিধিনিষিধের জন্য একদিকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে দেরি করে৤ তার উপর বৃষ্টির জন্য নাজেহাল কুমোরটুলির মৃত্্শিল্পী রা। ঠাকুরের গায়ের মাটি, রং শুকোতে ব্যবহার করতে হচ্ছে ব্লু ল্যাম্প। ঠাকুরের দাম বাড়েনি। তবে রংয়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকটাই চিন্তায় শিল্পীরা। জানালেন প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল। কারণ পুজোর শেষবেলায় বড় ঠাকুরের চাহিদা বাড়ছে। রংয়ের দাম যতই বাড়ুক, প্রতিমা রংয়ের জন্য রং কিনতেই হবে। এমনটাই বক্তব্য মৃত্্শিল্পী বঙ্কিম পালের। অন্যান্য রংয়ের দাম 30 শতাংশ বেড়েছে। সেই তুলনায় সোনালি রংয়ের দাম বেড়ে হয়েছে 1200 টাকা। আগের বছর দাম ছিল সাড়ে 800 টাকা। তবে এখানেই নয় পরিবেশ বান্ধব রংও ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিমা রংয়ের ক্ষেত্রে। তাই পরিবেশ বান্ধব রংয়েরও দাম বেড়েছে।
মহালয়ার দিন কিভাবে ঠাকুর ডেলিভারি দেবেন তা নিয়ে মৃত্্শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে দুশচিন্তা। প্রতিমা তৈরির জন্য আনুষাঙ্গিক যেগুলো দরকার যেমন কাঠ, খড়, মাটি, দড়ি এই সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দাম বেড়েছে প্রতিমা রংয়ের।