Date : 2024-03-19

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ কমিশনার

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : গরফা থানার একজন ইন্সপেক্টর এবং একজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র টেম্পারিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতা ক্ষতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের। সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছিলেন সন্তোষ চন্দ্র দাস। তার জন্য দায়ী করেছিলেন দুজন ব্যক্তিকে।প্রথম জন অশোক চাটার্জী দ্বিতীয় জন আলোক চ্যাটার্জি। যাদের থেকে তিনি সুদে ৪০হাজার টাকা নিয়েছিলেন বলেআত্নহত্যা র আগে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করে গিয়েছিলেন।অভিযুক্তরা তারা সন্তোষের জমি বাড়ি হস্তান্তরের জন্য চাপ দিচ্ছিলবলেও উল্লেখ করেছিলেন।পুলিশি দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা পাননি সন্তোষ বাবুর পরিবার।অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

মঙ্গলবার আবেদনকারীর আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলী আদালতে জানানসন্তোষ চন্দ্র দাস তাঁর বন্ধু অশোক চ্যাটার্জি কাছ থেকে ৪০ হাজার সুদে ধার নিয়েছিলেন।অভিযুক্ত ব্যাক্তি জানিয়েছিল সে সরকারি কর্মচারী।তাই তিনি সুদে নয় ধার হিসেবে টাকাটা দিচ্ছেন।এবং খাতায় কলমে ৪০হাজার নয় ১০০০০লেখার কথা বলে। পরে বলে টাকা নিয়ে যাও।বয়ান লিখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো বলে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় অশোক।বার বার টাকার জন্য চাপ দিতে বলে।লক ডাউন হওয়ার জন্য ব্যবসায় তেমন লাভ হচ্ছিল না।তাঁরই মাঝে অশোক এবং আলোক পুলিশ এনে বুলডোজার দিয়ে দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।পুলিশের সাহায্য চাইলে পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ।চলতি বছরের ৬ই জুন সন্তোষ চন্দ্র দাস আত্নহত্যা করেন।এবং একটি চিঠি লিখে যান তিনি।তাঁর মৃত্যুর জন্য কে বা কারা দায়ী সেটাও উল্লেখ ছিলো চিঠিতে।

সুইসাইড লেটার নিয়ে সন্তোষ চন্দ্র দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে গড়ফা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ আবেদন পত্রে তারিখ নিয়ে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। তারিখ বদলে একদিন আগের তারিখ উল্লেখ করে FIR রুজু করেছে পুলিশ।
এমনকী, তদন্ত ঠিক মত না করার অভিযোগও রয়েছে।

অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্তোষ বাবুর পরিবার।