Date : 2024-04-24

Calcutta High Court : আরজিকর হাসপাতালে অচলাবস্থা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : কলকাতা অবিলম্বে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিষেবা চালু করার দাবি মামলাকারীর। আলাপ-আলোচনায়, আশ্বাস, সরকারের কড়া পদক্ষেপ একেবারেই নিষ্ফলা। নিজেদের অবস্থান থেকে নড়ানো গেল না আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের যা নিয়ে দায়ের হতে চলেছে জনস্বার্থ মামলা।সম্ভবত বুধবারই মামলার শুনানি সম্ভাবনা বিশেষ অবকাশকালীন বেঞ্চে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।মূলত, উত্তর ২৪পরগণা,কলকাতা র বেশিরভাগ মানুষ এই হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসেন।কিন্ত বর্তমানে হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের বাগে আনতে জারি করা হয়েছে মহামারী আইন।সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১১ জন আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।অচলাবস্থা কাটাতে আজ আর জি করের ৩৮ টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যভবনে । দ্রুত জট কাটাতে সেখানে বৈঠক করা হয়।

সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ফেরাতে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়ে দুই জুনিয়র ডাক্তারের  বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। শাস্তির কোপে পডে়ছেন অন্যান্য ডাক্তাররাও। তাঁরা আউটডোরে হাজির থেকে চিকিৎসা না করলে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। তবে অনশনে ভঙ্গ দিয়ে কাজে ফেরেননি কেউ। আজ এ নিয়ে আরও কড়া হল স্বাস্থ্যভবন। বলা হয়েছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিতেই হবে। এই তথ্য পাঠানো হবে স্বাস্থ্যভবনে।

স্বাস্থ্যদপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশ, আর জি কর হাসপাতাল থেকে রোগীদের আর অন্যত্র রেফার করা যাবে না। যেভাবেই হোক আউটডোর পরিষেবা চালু করতেই হবে। রোগীর হয়রানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এদিকে, হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের দাবি, হাসপাতালে পরিষেবা চালু হয়েছে। অস্ত্রোপচারও চলছে। তবে পঠনপাঠনে যে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু বাস্তব বলছে, পরিস্থিতি তেমনটা নয়। আর জি করের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জেনে আর কেউ এই হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। ভরসা রাখতে না পেরে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তাই রোগীর চাপই নেই তেমন।

সরকারি হাসপাতালে এতদিন ধরে স্রেফ আন্দোলনের কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার মতো এমন নজিরবিহীন বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তারউপর আন্দোলনকারীদের ২ জনের অসুস্থতা এবং আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা বাড়ছে কর্তৃপক্ষের। তাই মঙ্গলবার কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা বিষয়টির মীমাংসায় ফের স্বাস্থ্যভবনে গেলেও বেরোইনি কোন সমাধান সূত্র।যদিও মামলাকারীর অভিযোগ হাসপালের পরিষেবা যথাযত পাচ্ছেন না রোগীরা।স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়েই শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।