Date : 2024-03-29

Durga Puja 2021: পুজো মানেই জনসংযোগ ! মন্ত্রী বলেন নির্ভেজাল আনন্দ।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : পুজো মানেই আম বাঙালী প্রধানতঃ তিনটে কাজে ব্যস্ত থাকে। পাড়ায় নির্ভেজাল আড্ডা, দেদার খাওয়া দাওয়া আর প্যান্ডেল হপিং। এর বাইরে আরো একটি কাজ বাঙালীর খুব পছন্দের। তা হলো সম্ভব হলে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি কেমন কাটান পুজোর সময় ? বিশেষ করে তিনি যদি আবার রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী হন ?

প্যান্ডেল হপিং। হ্যাঁ, অন্য কিছু করা সম্ভব না হলেও মন্ত্রী পুলক রায়ের প্যান্ডেল হপিং হয় বিস্তর। আসলে একদিকে তিনি উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক, তার উপর রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী। ফলে হাওড়ার বিভিন্ন পুজো মন্ডপে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ মেটাতে মেটাতেই তাঁর প্যান্ডেল হপিং হয়ে যায়। শুরুটা হয় মহালয়ার দিন থেকেই। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট টা পুজোর উদ্বোধন সারতে সারতেই ষষ্টি শেষ। সপ্তমী থেকে নবমী, নিজের বিধানসভা এলাকায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে চলে জনসংযোগের কাজ। আসলে সারা বছরই এদের সাথেই তাঁর ওঠাবসা। তাই এই ক’দিন নিজের বিধানসভা এলাকার প্রায় ১৩৩ টা পুজো কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে পৌঁছে যান প্রতিটা প্যান্ডেলে। সকাল থেকে দুপুর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে দুপুরে বাড়ি ফিরে কিছুটা খাওয়া দাওয়া। আবার বিকাল হতে না হতেই বেড়িয়ে পড়া। বাড়ি ফেরা সেই রাতে। পুজোর সময় একটুও ছুটি নেন না ? বাড়িতে সময় দেন না ? এতদিন রাজনীতি করার পরেও এই দিনগুলোতেও জনসংযোগে নামতে হয় ? আর প্লাস নিউজের এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী পুলক রায় জানালেন, “আলাদা করে ছুটির তো কোনো বিষয় নেই। এটাকে জনসংযোগ বলুন আর যাই বলুন, আমার যে এই কাজেই আনন্দ।

পুজোর সময়গুলোতে তো রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে আমাদের ছুটিই থাকে। আর এইসময় সবার সাথে দেখা করে, গল্প করে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে।” আর বাড়ির জন্য সময় ? হাসতে হাসতে মন্ত্রী বললেন, “ঐ যে দুপুর ও রাতে খেতে যাই।” আসলে পুজোর সময়টাতেই মন্ত্রী বা নেতার পোষাক ছেড়ে বাইকে করে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর মজা বেশ তারিয়ে তারিয়েই উপভোগ করেন পুলক রায়। প্রতি বছর পুজোর সময় নিয়ম করে তিনশো প্যাকেট তৈরি করেন তিনি। প্যাকেটে থাকে ধূতি বা শাড়ি, গামছা, নামাবলী। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে সেগুলো বিতরন করেন তিনি। এছাড়াও প্রতিটা পুজো কমিটিকে আলাদা করে আর্থিক সাহায্য করা বা ডাকিদের জন্যেও আলাদা আর্থিক সাহায্য করে থাকেন। তবে নবমী পর্যন্ত যত‌ই বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল হপিং হোক না কেন, দশমীর রাত নটায় কিন্তু একটা জায়গায় তাঁকে যেতেই হবে। সেটা হলো তাঁর গ্রামের বাড়ি গৌরিপুর। তবে দশমীতে পৌঁছে গেলেও কাজ শেষ হয় না। তখন আবার নতুন কাজ হলো শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জনের কাজ তদারকি করা। সত্যি জনপ্রতিনিধি হ‌ওয়ার ঝক্কি অনেক।