নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : কালিপুজোর আগে স্কুলের সমস্ত অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে প্রধান শিক্ষক – শিক্ষিকাদের । এমনি সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ শিক্ষকমহলের একাংশ।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুজোর পরেই খুলতে পারে স্কুল। তবে কবে থেকে খুলবে সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট করে জানায়নি শিক্ষাদপ্তর। যদিও স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে তোড়জোড় শুরু হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের অন্তরে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তারা একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন । যে বৈঠকে স্কুল খোলার আগে স্কুলকে ঘিরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সেগুলি হল-
29 অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত স্কুলকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে অর্থাৎ স্যানিটাইজার করতে হবে।
স্কুল খোলার আগে আরও একবার জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
অক্টোবর মাসের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বিতরণ করতে হবে সমস্ত অভিভাবকের।
৯ -১২শ্রেণি পর্যন্ত অভিভাবকদের ডেকে সভা করতে হবে।
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আধার নম্বর সংযুক্তি করণ ঘটেনি আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করতে হবে।
সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক, ছুটিতে থাকা শিক্ষক ও শূন্যপদের তালিকা ২৬ অক্টোবরের জমা দিতে হবে।
27 শে অক্টোবরের মধ্যে উৎসশ্রী সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানও হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্তে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য কোনো সময়সীমা যেন বেঁধে না দেওয়া হয় তার দাবি তুলেছে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেড মিস্ট্রেস সংগঠন।
প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই খোলা হোক স্কুল প্রাঙ্গণ। অভিনব থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকার সকলেরই মত তাই। তবে স্কুল খোলার আগে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কাজেরযে ফরমান জারি করা হচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে তা নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ শিক্ষক মহল।