সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : আরও এক প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে ! সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবারই ঘাসফুল হাতে তুলে নেবেন মাত্র ১৮ দিনের জন্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা চার্চিল আলেমাও। সূত্রের খবর, সোমবার কন্যা ভ্যালেঙ্কা আলেমাও কে সঙ্গে নিয়ে তিনি কলকাতায় এসেছেন এবং ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। দেখা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
ভারতীয় ফুটবলের খোঁজ যারা রাখেন তারা জানেন চার্চিল আলেমাও কে। গোয়ার “চার্চিল ব্রাদার্স” ফুটবল ক্লাব যে চার্চিল পরিবারের, আলেমাও চার্চিল যে সেই পরিবারেরই অন্যতম সর্বেসর্বা। তবে শুধু ফুটবল নয়, গোয়ার অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান আলেমাও চার্চিল রাজনীতির দলবদলেও সিদ্ধহস্ত। আশির দশকের শেষদিকে ইউনাইটেড গোয়া ডেমক্রেটিক পার্টি তৈরি করে রাজনীতির জগতে পা রাখা আলেমাও চার্চিল বেশ কয়েকবার জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ও বেড়িয়েছেন।
আবার ২০১৪ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রের হাত ধরে এই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই দক্ষিণ গোয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন ও হেরে যান। তারপর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে আর তেমন কোনো যোগাযোগ রাখেন নি তিনি। পরাজিত প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ ক্ষীণ হয় তৃণমূলেরও। ২০১৬ সালে চার্চিল আলেমাও শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিষ্ট কংগ্রেস পার্টি-তে যোগ দেন। সেই থেকে তিনি এই দলের সঙ্গেই যুক্ত আছেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের সময়েও তাঁকে বাজিয়ে দেখা হয়। কিন্তু তিনি সেইসময় মনস্থির করে উঠতে পারেন নি। তবে গোয়ার আরেক প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরোকে দলে নিয়েই মাত্র দুই মাসের মধ্যে যেভাবে এরাজ্য থেকে সোজা রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য আশার আলো দেখছেন বর্তমানে গোয়া বিধানসভার বিধায়ক চার্চিল আলেমাও। তাই কি তাঁর কলকাতায় আগমন ! মঙ্গলবারই কি তবে সাত বছর পর ফের ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেবেন তিনি ! এদিকে মঙ্গলবারই দুই দিনের সফরে মুম্বাই উড়ে যাওয়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর এবারের মুম্বাই সফরে তৃণমূল সুপ্রিমো মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের পাশাপাশি দেখা করতে পারেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও। তার আগে গোয়ার এনসিপি নেতাকে দলে নেওয়ার কাজ বা যোগদান পর্ব কি কলকাতায় সমাধা হবে ? শেষ কথা বলবেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং।