Icon Icon Icon

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

  • ছত্তিসগড়ে ৫০ ঘণ্টার এনকাউন্টার। খতম ৩০ জন মাওবাদী। নিহত মোস্ট ওয়াটেন্ড মাও কম্যান্ডার বাসবরাজ ওরফে কেশব রাও।
  • তিন দিনের বাস ধর্মঘট স্থগিত। বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের। পয়লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাস ধর্মঘট স্থগিত।
  • কলকাতা, কোচবিহার, মালদায় ধরা পড়েছে বাইরের লোক : মুখ্যমন্ত্রী।
  • বিহার, অসম থেকে লোক ঢুকছে রাজ্যে। সীমান্ত এলাকা খুব স্পর্শকাতর। প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ : মুখ্যমন্ত্রী।
  • জামিন পেলেন অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ। সেনার সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ১৮ মে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
  • কলকাতার আকাশে ড্রোন ঘিরে চাঞ্চল্য। ড্রোনের রহস্যভেদের চেষ্টায় বায়ুসেনা ও কলকাতা পুলিশ।
  • মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি চাকরিহারা শিক্ষকদের। চাকরির ভবিষ্যৎ জানতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তাঁরা।
  • ন্যাশনাল হেরাল্ড কেসে ১৪২ কোটি টাকা গরমিল। কোর্টে জানাল ইডি। এই মামলায় অভিযুক্ত সোনিয়া-রাহুল।
  • দিল্লি থেকে সর্বদল প্রতিনিধিদের প্রথম দলের রওনা। দলের নেতৃত্বে সাংসদ সঞ্জয় ঝা। এই দলে রয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • বালুচিস্তানে স্কুল বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মৃত ৪ শিশু।
  • বুকার সম্মানে সম্মানিত ভারতীয় লেখিকা বানু মুস্তাক। আঞ্চলিক ভাষায় লেখা বই ‘হার্ট ল্যাম্প’ সম্মানিত বুকারের মঞ্চে।
  • বুধবারও বাতিল হাওড়া থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। সাঁতরাগাছিতে সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরে বাতিল। বাতিল হতে পারে লোকালও।
  • গুরুতর জখম লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা। হাফিজ সইদের ডান হাত হিসাবেও পরিচিত হামজা। লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
  • লাচেন ও লাচুং-য়ের পারমিট দেওয়া বন্ধ করল সিকিম প্রশাসন। বৃষ্টি, জলস্রোতের কারণে সাংকালান ও ফিডংয়ের রাস্তা বন্ধ।
  • আলিগড়-দিল্লি হাইওয়েতে দুর্ঘটনা। চলন্ত বাসে আগুন। নিরাপদে বাসের ৬০ জন যাত্রী।
  • দিল্লির পাঞ্জাবি বাজারে বিধ্বংসী আগুন। পুড়ে ছাই বহু দোকান। হতাহতের খবর নেই।
  • বানভাসি বেঙ্গালুরু, জারি কমলা সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস।
  • মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। জারি কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকা। আন্ধেরিতে বন্ধ সাবওয়ে।
  • New Date  
  • New Time  
তারাদের গল্প : চরিত্রের স্প্যান নাকি চরিত্রের গভীরতা কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে ? – একান্ত আলাপচারিতায় মানসী সিনহা

29
November 2021

তারাদের গল্প : চরিত্রের স্প্যান নাকি চরিত্রের গভীরতা কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে ? – একান্ত আলাপচারিতায় মানসী সিনহা

তারাদের গল্পে আজ যার সাথে গল্প করলাম, তিনি কেবল সুচারু অভিনেত্রী বললে কম বলা হয়,আরও সুন্দর করে তাঁর পরিচয় দিতে গেলে বলতে হয় তিনি একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পী।আড়াই বছর বয়সে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি,পাশাপাশি নাচ এবং তাঁর শিল্পীসত্ত্বার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তাঁর বুটিক।কমেডিয়ানের চরিত্রে খুব কম অভিনেত্রীকেই আমরা এতো সাবলীল অভিনয় করতে দেখি।আর এ সব কিছুকে ছাপিয়ে তিনি একজন মেয়ে, ঘরণী,একজন মা।তিনি আর কেউ নন আমাদের অতি পরিচিত অভিনেত্রী মানসী সিনহা।তাঁর সাথে গল্প করে আজ জেনে নিলাম তাঁর পছন্দ-অপছন্দ,ব্যক্তিগত জীবন,কর্মজীবন,স্মরণীয় মুহূর্ত,আফশোস,আগামীর পরিকল্পনা ও নিজস্ব ভাবনার কথা।মজা করে খেললাম র‍্যাপিড ফায়ার গেম।দেখে নিন কী জানালেন তিনি ?

(পছন্দ-অপছন্দ)

প্রশ্নঃ অনেকদিন পর্যন্ত স্টেজে অভিনয়।এরপর ধীরে ধীরে সিনেমা,টেলিসিরিয়াল।তবু স্টেজে কাজ করাই পছন্দ।কেন ?

মানসীঃ আমি আড়াই বছর বয়স থেকে স্টেজে অভিনয় করছি। ফলে স্টেজটা আমার সেকেন্ড হোম।স্বাভাবিকভাবেই ক্যামেরার সামনে আমি যে কাজ করি, সেটা আমার পেশা।আর স্টেজটা আমার নেশা।

প্রশ্নঃ মেক-আপ,হেয়ার স্টাইলিং…….এসবে বিরক্তি রয়েছে আপনার ? নাকি মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যে আপনার আস্থা ?

মানসীঃ বিরক্তি নেই। কোনও চরিত্রের প্রয়োজনে মেক-আপ করতে হলে ঠিক আছে, সেটা তো ম্যান্ডেটরি কিন্তু আমি মেক-আপ করে নিজেকে সুন্দর দেখানোয় বিশ্বাসী নই।আমি ব্যক্তিগত জীবনেও কোনও মেক-আপ করি না।

প্রশ্নঃ “হাজার চুরাশি কি মা”এর “সুজাতা”র চরিত্র আপনার পছন্দের।সেইরকম চরিত্রে বা অনুরূপ কোনও চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ এসেছে কি কখনও ?

মানসীঃ এখনও সুযোগ পাইনি।সুযোগ পেলে হাতে চাঁদ পাওয়ার মত লাগবে।

প্রশ্নঃ ফ্ল্যাট নয় বাড়ি, তাও বাগানসহ।কেন ? বাগানের শখের জন্যই ?

মানসীঃ আমার স্বামী আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, সেটা ভীষণ ম্যাটার করেছিল।উনি বলেছিলেন, ফ্ল্যাট মানে একটা শূন্য কেনা।আমরা ফ্ল্যাটই কিনেছিলাম আগে কিন্তু এতবড় পৃথিবীতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য একটুকরো জমি থাকবে না ?এই বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ম্যাটার করেছিল- তাই বাড়ি কেনা।

প্রশ্নঃ ছোটবেলা কেটেছে শ্যামবাজারে, এখন দক্ষিণ কলকাতায় বাস।কলকাতার কোন দিক বেশি পছন্দের ? কেন ?

মানসীঃ উত্তর কলকাতা। দক্ষিণ কলকাতা এখনও আমার আপন হয়নি।আমার নাড়ীর টান রয়েছে উত্তর কলকাতার সঙ্গে।আমি খড়দহের মেয়ে, শ্যামবাজারে বড় হয়েছি।আমার বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন,চেনা-জানা………..নর্থ ক্যালকাটার প্রতিটা কোণ আমি চিনি।আমার থিয়েটার পাড়া নর্থ ক্যালকাটায়।আমার পছন্দের খাবারের দোকান, আমার পছন্দের জিনিসপত্রের দোকান,পছন্দের মানুষজন…..সব নর্থ ক্যালকাটায়।পরিস্থিতির চাপে দক্ষিণ কলকাতায় আছি।কখনও পরিস্থিতি অনুকূল হলে আবার উত্তর কলকাতায় চলে যাব।

(ব্যক্তিগত জীবন)

প্রশ্নঃ অভিনেত্রী মণিদীপা রায়ের কন্যা আপনি।মায়ের আঁচল ধরেই অভিনয়ে আসা।তাহলে মানসী সিনহার অভিনেত্রী হয়ে ওঠা কি মায়ের স্বপ্নপূরণ ?

মানসীঃ মায়ের স্বপ্নপূরণ কিনা জানিনা।অভিনয়টা আসলে আমার রক্তে।আমার বাবা নিয়মিত যাত্রা করেছেন। আমার বাবা-মায়ের আলাপও অভিনয়সূত্রে।দুজনেই গণনাট্যের শিল্পী। আমার মামা-মামি,ছোটদাদু…সকলেই অভিনয় করতেন।অভিনয় ছাড়া আমি আর কিছু করতে পারতাম না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। চাকরি করেছি,কলেজে পড়ানোর চেষ্টা করেছি……কিন্তু নিজেই ধীরে ধীরে বুঝেছি অভিনয় ছাড়া আমার আর কিছু হবেনা।

প্রশ্নঃ সাড়ে ছয় বছর বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ।বড় হওয়ার সময় বাবার কতটা অভাব বোধ করেছেন ?

মানসীঃ আইনত বিচ্ছেদ নয়।দুজনে আলাদা থেকেছেন কিন্তু আমি বাবার সঙ্গ পেয়েছি।বাবা নিয়মিত আসতেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।ভালবাসা থেকে একটা ইগো জন্মায় না ? সেই ইগোর বশেই সারাজীবন বাবা-মা আলাদা থেকে গেলেন।তবে হ্যাঁ, একছাদের তলায় বাবাকে না পাওয়ার যে আক্ষেপ,তা থেকে গিয়েছে।

প্রশ্নঃ আপনার মা আপনার বিষয়ে খুবই পসেসিভ।আপনার প্রথম প্রেমিককে যখন মা বাতিল করে দিয়েছিলেন, তখন কেমন লেগেছিল ?

মানসীঃ আমার ছোটবেলার বন্ধু ছিল আমার প্রথম প্রেমিক।আমার বাবা-মা দুজনেই ওকে স্নেহ করতেন, ভালবাসতেন কিন্তু কলেজে পড়ার সময়ে “ও” তৎকালীন রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় মায়ের আপত্তি ছিল আমাদের সম্পর্কে।আমার মায়ের সিদ্ধান্তের যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল আমার কাছে কারণ আমি দেখেছি কতটা স্ট্রাগল করে আমার মা আমাকে বড় করেছে। তাই মায়ের ভাবনাকে মান্যতা দিতেই সরে আসা ওই সম্পর্ক থেকে।

প্রশ্নঃ মাকে ফেলে বন্ধুদের সাথে কফি হাউসে গিয়েছিলেন বলে মা ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন. কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা ?

মানসীঃ আসলে মা ভেবেছিলেন, আমাকে হাত ধরে বড় করবেন। তখন বুঝিনি কিন্তু এখন বুঝেছি। আমার মেয়ে যখন আমাকে বলে ও নিজেই পেরে যাবে, আমার সাহায্য লাগবে না তখন বুঝি, মায়ের ধাক্কাটা কোথায় লেগেছিল।আসলে মা চেয়েছিল মা নিজে আমাকে কফি হাউস চেনাবেন,দেখাবেন।তারপরে কিন্তু বন্ধুদের সাথে কম আর মায়ের সাথেই বেশিবার কফি হাউস গিয়েছি।তবু….প্রথমবারের দুঃখটা ভুলতে পারেননি।

প্রশ্নঃ নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করা, আপনার মেয়ের পছন্দ নয়। তাহলে কি মানসী সিনহাকে আমরা আর নেগেটিভ চরিত্রে দেখতে পাব না ?

মানসীঃ এখনও একটি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করছি।”কন্যাদান”-এ।তবে এটাই আমার শেষ কাজ নেগেটিভ চরিত্রে কারণ, এর আগে যখন আমি “পটল কুমার গানওয়ালা”তে অভিনয় করেছিলাম,তখন আমার মেয়ের ভীষণ আপত্তি ছিল।কন্যাদানের চরিত্রটা বাইরে থেকে অতটা খারাপ নয়, ভিতরে ভিতরে নেগেটিভ । তাই ও বুঝতে পারে না।তবে বড় হচ্ছে তো! এবার ও বুঝতে পারবে।তাই আর এরকম চরিত্র করব না।

(কর্মজীবন)

প্রশ্নঃ মাত্র আড়াই বছর বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি।নিজের মায়েরই ছেলের ভূমিকায় অভিনয়।ভুল নামতা বলার কথা ছিল কিন্তু ঠিক নামতা বলে কি মার খেতে হয়েছিল ?

মানসীঃ আড়াই বছর বয়সে মা আমাকে পিটিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন…স্টেজে ওসব চলেনা।ডিরেক্টর যা বলেছেন, তাই করতে হবে। নিজের বুদ্ধি খাটালে চলবে না।অভিনয়ের মারটা সত্যি সত্যি পড়েছিল স্টেজেই।

প্রশ্নঃ আপনার মা কে অভিনয় জগতের অনেকে বিপত্তারিণী রায়ও বলতেন।আপনিও কি মায়ের মতই বিপত্তারিণী ?

মানসীঃ দু-একটা ক্ষেত্রে হয়েছি।অফিস ক্লাবে বহুবার হয়েছি। যারা অনেক সময় যে চরিত্রটার জন্য আমাকে উপযুক্ত মনে করেননি, আবার তারাই পরে ডেকেছেন আমাকে।মায়ের মত অতটা বিপত্তারিণী না হলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে হয়েছি বইকি।

প্রশ্নঃ গান্ধারে “চারদুয়ার” নাটক করার সময় তরুণ মজুমদারের আপনার অভিনয় ভাল লাগে। তারপরই “আলো” ছবিতে কাজের সুযোগ। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা ?

মানসীঃ আমাকে মেঘনাদ দা বললেন, তরুণ মজুমদার নাটক দেখতে এসেছেন। নাটকের পরের দিন মেঘনাদ দা বললেন, তরুণবাবু বলেছেন তিনি 6 বছর পর সিনেমা করছেন। যদি আমি আগ্রহী হই তাহলে যোগাযোগ করতে বলেছেন। আমি ভয়ে যোগাযোগ করিনি। তারপরে মাস দেড়েক পর উনি নিজে ফোন করেন। আমি ফোন ধরে যেই শুনলাম ওই প্রান্তে তরুণ মজুমদার, আমি বিশ্বাস করিনি। বললাম…..কেরে ? আমার সঙ্গে বদমাসি করছিস? উনি নাকি ভীষণ হেসেছিলেন। তাই পরের ফোনটা করতে একটু দেরি হয়েছিল।তবে সবথেকে মজা যেটা……আমি যে কমেডি অ্যাক্টিং করতে পারি, তার আগে বুঝিনি কিন্তু ! অথচ ওই মানুষটা ওইটুকু সময়ের মধ্যে বুঝেছিলেন।বলেনা, জহুরীর চোখ!

প্রশ্নঃ মানসী সিনহা কি বেশিরভাগ সময় কমেডিয়ান আর দজ্জাল চরিত্রেই অভিনয়ের সুযোগ পায় ?

মানসীঃ ক্যামেরায় অনেক বেশি কমেডি চরিত্র করেছি।তবে অনেক সিরিয়াস চরিত্রও করেছি।কারণ, “ধ্যাৎতেরিকা”র পাশাপাশি আমি “তমসারেখা”ও করেছি একইসঙ্গে একই হাউস থেকে।

(স্মরণীয় মুহূর্ত)

প্রশ্নঃ আপনার বিয়ের সময় থেকে বাবা-মায়ের সম্পর্কের আবার উন্নতি হয়। কতটা স্মরণীয় সেই মুহূর্ত ?

মানসীঃ আমার বিয়ের কথাবার্তা যখন চলছে, তখন আমার ছোট দাদুর কাছে শোনা যে, বাবা (আমি বাবি বলে ডাকতাম) বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ভাববাচ্যে মাকে বলেছিলেন এবার তাহলে কিছু পরিকল্পনা করতে হয়।উত্তরে মা বলেছিলেন, তাহলে বাগুইআটি একবার আসতে হয়(তখন আমি আর মা বাগুইআটিতে থাকতাম)। এইভাবেই বাবা-মায়ের প্যাচআপের সূত্রপাত।

প্রশ্নঃ জীবনে এখনও পর্যন্ত যত চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার মধ্যে কোন চরিত্রে অভিনয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল ?

মানসীঃ বলা খুব মুশকিল।আমার কাছে প্রত্যেকটা চরিত্রই নিজের মত করে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ পুরস্কার পেতে তো সকলের ভাল লাগে।মানুষের ভালবাসা পেতে তার চেয়েও বেশি ভাল লাগে।এমন একটি স্মরণীয় মুহূর্তের কথা বলুন,যেখানে মানুষের ভালবাসা পেয়ে চোখ ভিজে গেছে।

মানসীঃ “পটলকুমার গানওয়ালা” যখন করছি, তখন একটি ছোট মেয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল….. “তুমি ওরকম মারো কেন গো ?আমার মামীও ওরকম মারে” এইটা শোনার পর আমার বুকের ভিতরটা ছ্যাঁত্ করে উঠেছে।আমার মনে হল, এরা আমায় কি চোখে দ্যাখে ? আমি তখন মেয়েটিকে আদর করে বলি, আমি তো ওটা অভিনয় করি, সত্যি সত্যি মারি না।তবে খুব খারাপ লেগেছিল।

প্রশ্নঃ সাড়ে সাত বছর পর স্টেজে অভিনয় করছেন।কতটা ভাল লাগছে ?

মানসীঃ ভীষণ টেনশন হয়েছে।এবারে উপরি চাপ ছিল।নাটকটা লেখা আমার।ডিরেকশন আমার।উতরে গেছে টেন পারসেন্ট।দেখা যাক। সবে তো শুরু।

(আফশোস)

প্রশ্নঃ আপনার রান্না খেয়ে অন্যরা ভাল বললেও আপনার “কত্তা” ভূয়সী প্রশংসা করেন না। কতটা আফশোস হয় ?

মানসীঃ অন্যান্য স্বামীর মত আমার স্বামীরও সেই একই ধারণা যে তাঁর মায়ের মতো রান্না কেউ করতে পারে না।আর তাঁর বন্ধুর বউরা এবং বান্ধবীরা তো অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল রান্না করে।

প্রশ্নঃ মায়ের ইচ্ছা ছিল আপনি কলেজে অধ্যাপনা করুন। ইচ্ছাপূরণ করেও করতে পারেননি। এখন আফশোস হয় ?

মানসীঃ হ্যাঁ, সুরেন্দ্রনাথ কলেজে আমি বাংলা পড়াতাম, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আমায় নিয়ে গিয়েছিলেন কলেজে কিন্তু ওই যে অভিনয়ের জন্য হল না।লেগে পড়ে থাকতে পারলে হয়তো হতো।

(আগামীর পরিকল্পনা)

প্রশ্নঃ “ডি-ওয়ার্কশপ”- কি চিন্তাভাবনা থেকে এই প্রয়াস ?

মানসীঃ খুব ভাল চিন্তাভাবনা থেকে এর সূত্রপাত।একেবারে অন্যরকম অভিনয় শেখার ক্লাস হবে ভেবেছিলাম কিন্তু যার সাথে আমি এই কাজটা শুরু করেছিলাম,সে অর্থনৈতিকভাবে আমায় প্রতারণা করল। ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার শর্মিষ্ঠা ঘোষের জন্যই এই কাজটা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হল না।

প্রশ্নঃ বুটিক নিয়ে আগামীতে কি পরিকল্পনা আছে ?

মানসীঃ বুটিকটা চলছিল।করোনার জন্য বন্ধ করতে হল।তারপর মা চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমি সবকিছুই মায়ের জন্য করতাম।পাশাপাশি বুটিকটি যে মেয়েটির দায়িত্বে আমি ছেড়ে দিয়ে আসতাম, তার সাথেও একটি পারিবারিক দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।সব মিলিয়ে বুঝলাম….. আমার অভিনয় করাই ভাল।

প্রশ্নঃ নাটক পরিচালনা করছেন।এটা কি আপনার স্বপ্নপূরণ ?

মানসীঃ আমার নয় আমার মায়ের স্বপ্নপূরণ বলা যেতে পারে।

(নিজস্ব ভাবনা)

প্রশ্নঃ সমস্ত শিল্প জগতেই কি এখন গভীরতার অভাব উপলব্ধি করছেন ?

মানসীঃ বেশিরভাগ মানুষই মনে করছে যে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিই।পরিস্থিতি যা, তাতে “না” বলতে পারা লোকের সংখ্যা কমে গিয়েছে। আবার যখন “না”বলতে শিখবে সকলে,তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।

প্রশ্নঃ সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের উপর কী প্রভাব ফেলছে বলে আপনার মনে হয় ?

মানসীঃ পজিটিভ-নেগেটিভ দুটো দিকই আছে।যে কোনও বিষয়েরই থাকে।আমাদের উপর নির্ভর করছে, আমরা কোন দিকটি নেব।তবে এরফলে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বেড়েছে।অনেক পুরোনো বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যায়।ভাল লাগে ব্যাপারটা।

প্রশ্নঃ সত্যিই কি শিল্পীদের সুরক্ষা আছে ? করোনার আবহে শিল্পীদের সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ?

মানসীঃ শিল্পীদের কোনও সুরক্ষা থাকে না।করোনার পর আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকরকম চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সেগুলো প্রপারলি মেইনটেইনড হয় না…আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।

প্রশ্নঃ চরিত্রের স্প্যান নাকি চরিত্রের গভীরতা কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে ?

মানসীঃ অবশ্যই গভীরতা।এমন অনেক সিনেমা আছে,যাতে আমি একটা দৃশ্যতেই অভিনয় করেছি,কিন্তু লোকে সেটা মনে রেখেছে। দেখা হলেই বলে, ওই দৃশ্যের অভিনয়ের কথা।

প্রশ্নঃ দর্শকদের নজরে থাকতে সারাক্ষণই কি কোনও না কোনও কাজ করে যাওয়া উচিত, নাকি সিলেকটিভ হওয়া উচিত ?

মানসীঃ আমার মনে হয় সিলেকটিভ হওয়া উচিত। সারাক্ষণ কাজ করে গেলে তুমি ওভার এক্সপোজ্ড হয়ে যাবে।

( র‍্যাপিড-ফায়ার)

প্রশ্নঃ অভিনয় জীবনের চেয়েও কি ছেলেমেয়েকে বেশি গুরুত্ব দেন ?

মানসীঃ হ্যাঁ

প্রশ্নঃ অভিনেত্রীদের কমেডিয়ান চরিত্রে খুব বেশি দেখা যায় না……..সেই কারণেই কি এই জনার বেছে নেওয়া ?

মানসীঃ না (ভাগ্য)জনার আমাকে বেছেছে,আমি জনার বাছিনি।

প্রশ্নঃ আপনার ডাকনাম মিষ্টু। নামের মতোই কি আপনার স্বভাবও মিষ্টি……কী মনে হয় আপনার ?

মানসীঃ লোকে বলে হ্যাঁ, আমি বলি না । (সহাস্যে)

প্রশ্নঃ থিয়েটারে মেঘনাদ ভট্টাচার্য,ব্রাত্য বসু, অনেকের সাথেই কাজ করেছেন। তবু “সমীক্ষণ”ই কি আপনার দল ?

মানসীঃ হ্যাঁ যদিও আইনত আমি ওদের সদস্য নই। পঙ্কজ মুন্সি আমার গুরু।

প্রশ্নঃ নাচ ছেড়ে দেওয়ার পর কি কষ্ট হয় ?

মানসীঃ হ্যাঁ ভীষণ কষ্ট হয়।

প্রশ্নঃ আপনার মায়ের মেয়ে কি বেশি বাধ্যসন্তান আপনার ছেলেমেয়েদের চেয়ে ?

মানসীঃ হ্যাঁ

প্রশ্নঃ তরুণ মজুমদারের “আলো” ছবিতে সুযোগ না পেলে কি আজকের মানসী সিনহা হয়ে উঠতে পারতেন ?

মানসীঃ হ্যাঁ। আমি আমার থিয়েটারের পরিচয় নিয়েই হ্যাপি।

প্রশ্নঃ মানসী সিনহা কি ভার্সেটাইল চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পায় ?

মানসীঃ হ্যাঁ

প্রশ্নঃ হার্ডওয়ার্কের চেয়ে কি স্মার্টওয়ার্কে বেশি বিশ্বাসী ?

মানসীঃ না, হার্ডওয়ার্কে

প্রশ্নঃ সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে ?

মানসীঃ না, এখন রাজনীতি তো স্বার্থনীতি !

INDIA- PAKISTAN WAR: নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলের পাল্টা অ্যাকশন রেডি। Pahalgam Attack। Nuclear Bomb

DA CASE NEWS : সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি | Supreme Court | West Bengal News

Bangladesh News : মৌলবাদের কোলে দুলছে ইউনুসও । Muhammad Yunus | Sheikh Hasina | Bd Politics

Gautam Barat : বুম্বাদা Prosenjit Chatterjee বলেছিলেন আমাকে নিয়ে Story করতে । Tollywood Story

THE NEWSROOM PLUS : ” আমার খুন করতে ভালো লাগে ” – সৌরভ দাস । SOURAV DAS EXCLUSIVE । RPLUS NEWS

Tanmoy bhattacharya Exclusive:রাজনীতি শেখা উচিত কার থেকে ?।The Newsroom Plus।Baranagar By Election

Koustav Bagchi Exclusive : “যা করেছি বেশ করেছি” – কেন বললেন কৌস্তভ ?

Ayodhya Ram Mandir News

Ayodhya Ram Mandir News : রামসুধায় মেতেছেন ভক্তরা । R Plus News

What Men Really Wants : “পুরুষ কি চায় ? ” । @RPlusnewsdigital