Date : 2024-04-25

টানা বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশ

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশে কমপক্ষে ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু কাদাপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। নিখোঁজ অন্তত ১২ জন। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের ৩ জেলা এবং একটি উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল মৌসম ভবন। পূর্বাভাস মতোই শুরু হয়েছে দুর্যোগ। কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। তাতেই নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বহু মানুষ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন।

তিরুপতি মন্দির শহরেও ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জলবন্দি শয়ে শয়ে তীর্থযাত্রী। ঘাট রোড এবং তিরুমালা পর্বত যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করা হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিরুপতি লাগোয়া স্বর্ণমুখী নদীর জল। বন্যা পরিস্থিতির জেরে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় নামানো হয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বায়ুসেনার বিমানও।

 অনন্তপুর জেলার কাদিরি শহরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একটি তিনতলা বাড়ি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশু সহ ৪জনের। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়ালসীমা অঞ্চল, চিত্তর, কাড়াপা, কুরনুল এবং অনন্তপুর জেলা। বন্যা পরিস্থিতির জেরে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে কাড়াপা বিমানবন্দর।

কাড়াপা জেলায় হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে একটি  যাত্রীবোঝাই সরকারি বাস। অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ১২ জন ভেসে গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। অন্যদিকে রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ভেসে গিয়েছেন ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায়।  তামিলনাড়ু এবং কেরালাতেও এর প্রভাব পড়েছে। পাম্বা নদীতে অস্বাভাবিক জলস্ফীতি শুরু হয়েছে। এর জেরে পাম্বা এবং শবরীমালা মন্দিরেও তীর্থযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।