Date : 2024-03-29

কোভিডে আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে বাজারে আসতে চলেছে ভারতে তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির।

করোনা অতিমারি আবহে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একমাত্র ভরসা ছিল টিকা বা প্রতিষেধক।  এবার কোভিডে আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে বাজারে আসতে চলেছে ভারতে তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আপাৎকালীন ব্যবহারের অনুমতি পেতে চলেছে এই ওষুধ, জানান কোভিড স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. রাম বিশ্বকর্মা । তিনি জানান, এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে। যা সংকটজনক  কোভিড আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতেও কার্যকরী। এছাড়াও জরুরী ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমতি পেতে চলেছে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড।  এই দুটি ওষুধ বাজারে এলে কোভিড পরবর্তী বিশ্বের রূপে অনেকটাই বদল আসবে বলে জানান তিনি। আপাতত অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এই ওষুধ। এই মুহূর্তে ভারতের পাঁচটি কোম্পানি এই ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত।

ফাইজারও দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নিতে হয়। অন্যটি খাওয়ার। ২০০২ সালে এই দু’টি ওষুধই সার্সের প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এবার সেই ওষুধকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার। প্যাক্সলভিড সংকটজনক রোগীদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮৯ শতাংশ কমে বলে দাবি করেছে ফাইজার।

দু’টি ওষুধের করোনা মোকাবিলার ক্ষমতা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাদের শরীরে মলনুপিরাভি প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ৭.৩ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। ১,২১৯ জন করোনা রোগীকে প্যাক্সলভিড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ০.৮ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দু’টি ওষুধের প্রয়োগে ২৮ দিনের মধ্যে কোনো করোনারোগীর মৃত্যু হয়নি। কেউ গুরুতর অসুস্থও হননি। সবমিলিয়ে করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে এই দুটি ওষুধ।