সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান। ১৯৯৮ সালের পর ফের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। উচ্ছ্বসিত বনদপ্তর, উচ্ছ্বসিত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরাও।
গত কয়েক বছর ধরে মাঝেসাজেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও তার আশেপাশে বাঘের দেখা মিলেছে বলে বেশ কিছু দাবি সামনে এসেছে। কখনো কোন পর্যটক দাবি করেছিলেন তিনি বাঘের দেখা পেয়েছেন, কখনো বা কোন গাড়িচালক এমন দাবি করেছেন এতদিন। কিন্তু সেই দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ এতদিন পাওয়া যায় নি। তবে এইসব দাবি সামনে আশায় ব্যাঘ্র প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা কিছুটা উৎসাহিত হয়েছিলেন তা বলাই যায়। সেই কারণে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এরিয়া জুড়ে ক্যামেরা ট্র্যাপ লাগানো হয়েছিল।
অবশেষে সেই ক্যামেরায় ধরা পরল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বনদপ্তর সূত্রে খবর তাদের পাতা ট্রাক ক্যামেরায় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের আনাগোনার ছবি ধরা পড়েছে। কিছুদিন আগেই এই ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া একটি জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। তাতে আরও বেশি উৎসাহিত হয়ে ওঠেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও আধিকারিকরা। অবশেষে সাফল্য এল শুক্রবার গভীর রাতে। বনদপ্তর সূত্রে খবর তাদের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের দুটো ছবি ধরা পড়েছে। একটি ছবিতে বাঘের জ্বলন্ত চোখ দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে বাঘের সুস্পষ্ট উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে। এই ছবি প্রমাণ করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এর উপস্থিতি। স্বভাবতই খুশি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ বনদপ্তর এর সমস্ত কর্মি ও আধিকারিকরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ আছে কিনা এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা জল্পনা চলছিল। এমনকি এই কথাও উঠতে শুরু করে যে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কে আদৌ আর ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় রাখা হবে কিনা। কিন্তু শুক্রবার এর এই ছবি আপাতত সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঠিক কোন জায়গায় এই বাঘের ছবি পাওয়া গিয়েছে তা বলতে রাজি নয় বনদপ্তর ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। এখানে ঐ বাঘটির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করাই বনদপ্তর ও ব্যাঘ্র প্রকল্পের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর আগামী দু-একদিনের মধ্যে বনদপ্তর এর কয়েকজন আধিকারিক ওখানে যাবেন। এখন বাঘটির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই প্রধান কাজ। এদিকে বনদপ্তর এর একটি সূত্র জানাচ্ছে ওখানে একটাই বাঘ আছে নাকি একাধিক বাঘ বা বাঘিনী আছে তা এবার আরো ভালো করে শুমারি করে দেখা হবে।