রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্ক : চাইলেই মৃত্যু। এক পলকেই ইচ্ছে মৃত্যুর এমনই এক যন্ত্রকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড। যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা ক্যাপসুলের মতো। ওই কফিনের মতো যন্ত্রে ঢুকে পড়তে মানুষটিকে, যিনি মরতে চাইছেন। তার পর বিশেষ যন্ত্রের ক্ষমতা প্রয়োগ করে কমিয়ে আনা হবে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা। সংবাদ সংস্থা মারফত খবর, এই গোটা প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে এক মিনিটেরও কম। নিমিষের মধ্যেই মৃত্যু হবে ওই কফিনের ভিতরে থাকা মানুষটির।
এই যন্ত্র ছাড়পত্র পাওয়ার ঘোষণা করার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিভাবে কাজ হবে যন্ত্রটির? বলা হয়েছে, এই পরিষেবার আবেদন করবেন যে ব্যক্তি, তাঁর ইচ্ছা মতো কোনও একটি স্থানে ওই যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়া যাবে। মানে যেখানে তাঁর মৃত্যু হোক বলে চাইছেন তিনি, সেখানেই সেই যন্ত্রটিকে নিয়ে যাবে সংস্থা। তাঁরা সেখানেই পুরো বিষষয়টি পরিচালনা করবেন।
এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে আছেন ‘ডক্টর ডেথ’, যাঁর আসল নাম Philip Nitschke। তাঁকে সকলে মৃত্যুর চিকিৎসক বলেই চেনে। সুইৎজারল্যান্ডে ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি রয়েছে। গত ১ বছরে প্রায় ১৩০০ জন ইচ্ছামৃত্যু বরণ করেছেন সে দেশে। সেই প্রক্রিয়া এমন যন্ত্রের মাধ্যমে কোনওদিনই হত না। এ বারে একটি যন্ত্র তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজে পরিচালনা করা যাবে বলে মনে অনেকের। আপাতত সারা পৃথিবীতে এই সারকো-এর দুটি প্রোটোটাইপ রয়েছে। তবে প্রস্তুত কারক সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে তৃতীয় একটি মেশিনও প্রস্তুত করে দেওয়া সম্ভব হবে।