Date : 2024-04-23

বাংলাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুন

রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুন। ঝলসে মৃত কমপক্ষে ৩৬ জন। তবে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ‘এমভি-১০ অভিযান’ নামে একটি লঞ্চ হাজার খানেক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল।তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল।বৃহস্পতিবার ওই লঞ্চ ঝালকাঠির গাবখানের কাছে সুগন্ধী নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আচমকাই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে লঞ্চটি। পরে লঞ্চটিকে দিয়াকুল গ্রামে নোঙর করানো হয়। আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী সুগন্ধী নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁদের একাংশ সাঁতার জানতেন। কিন্তু অনেকেই তা জানতেন না।

কেউ কেউ দিশেহারা হয়ে থেকে যান লঞ্চেই।লঞ্চটি একেবারে পুড়ে যায়। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ করে।সেখান থেকেই একের পর এক দেহ বের করে আনা হয়। কমপক্ষে ৭০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।প্রশাসন সূত্রের খবর, এর মধ্যে ৪৮ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, প্রথমে লঞ্চের পিছন দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তে সেই ধোঁয়া হয়ে যায় লেলিহান আগুনের শিখা। গোটা লঞ্চে আগুন লেগে যায়। প্রথমে দোতলায় আগুন দেখা যায়। এরপর ক্রমে তা গোটা লঞ্চকে গ্রাস করে ফেলে। তৃতীয় তলার কেবিন ও নীচেও আগুন ধরে যায়।দমকলের প্রাথমিক অনুমান, লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে কোনওভাবে আগুন লেগে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকল বিভাগ।যদিও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ করতে বেগ পেতে হয় তাঁদের। তবে এখনও নিখোঁজ লঞ্চের বহু যাত্রী।