Date : 2024-04-24

ওমিক্রন উদ্বেগ, ভোট পিছনোর অনুরোধ আদালতের

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : করোনা আবহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছনোর আর্জি জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।  বিচারপতি শেখর কুমার যাদব একটি মামলার শুনানিতে বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে তৃতীয় ঢেউ আসছে। ইতিমধ্যে চিন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি সম্পূর্ণ এবং আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। দ্বিতীয় ঢেউতে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সময়েও কোভিড বিধি শিকেয় উঠেছে। ফলে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি সমর্থকদের নিয়ে মিটিং মিছিল করবে। সেখানে সামাজিক দুরত্বের মতো কোভিড বিধি মানা সম্ভব নয়। এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সংক্রমণ আটকাতে না পারলে, তৃতীয় ঢেউতে এর ফল আরও খারাপ হবে বলে জানায় আদালত। তারপরই রাজনৈতিক দলগুলির মিটিং মিছিল বন্ধের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে আদালত।

টিভি চ্যানেল ও কাগজের প্রচার করার পরামর্শ দেন বিচারপতি। সম্ভব হলে ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন রয়েছে তা কয়েক মাস পিছনো যেতে পারে। কারণ মানুষের জীবন থাকলে তবেই মিটিং মিছিল হবে। ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাতেও মানুষের বাঁচার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও মিটিং মিছিল স্থগিত করার বিষয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।     

ইতিমধ্যে ওমিক্রনের জেরে ফের রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাত্রিকালীন কার্ফু শুরু হচ্ছে সেখানে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তা চালু থাকবে। এ ছাড়াও একগুচ্ছ সতর্কতা বিধি জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শুক্রবার সকালে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরই নয়া কোভিড নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।

তাতে রাত্রিকালীন কার্ফুর পাশাপাশি, বিয়েবাড়ি এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি অতিথি সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে রাখতে হবে। কোভিড বিধি পালন করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। এছাড়া মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মাস্ক না পরে কেউ দোকান বাজারে গেলে, তাঁকে জিনিস বিক্রি করা যাবে না। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরা আবশ্যক। তা নিশ্চিত করতেই নজরদারি চালাবে পুলিশ। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ সীমানাতেও কড়া নজরদারি চালানো হবে। রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দরেও বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

অন্যান্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে আসা মানুষজনের করোনা পরীক্ষাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে।