আমরা সকলেই স্বাস্থ্য নিয়ে খুব সচেতন থাকি। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমরা ওজন কমানোর দিকে বেশি আগ্রহী। সেজন্য আমরা ডায়েট করা শুরু করি। সঠিক ভাবে ডায়েট করতে না পেরে অনেকে অপুষ্টিতে ভোগেন। আপনি কি জানেন এক বাটি ফ্রুট স্যালাড দূর করতে পারে আপনার সব সমস্যা। ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীরের অপর্যাপ্ত পুষ্টির উত্্স্য হয়ে উঠতে পারে ফ্রুট স্যালাড। সেজন্য প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পর কিংবা দুপুরে খাবার পাতে রাখতে পারেন ফ্রুট স্যালাড।
মারশুমি ফল ও শাকসব্জির পুষ্টি গুনঃ
যে ঋতুতে যে ফল বা সব্জি পাওয়া যায় তার পুষ্টিগুন কিন্তু অনেক বেশি। কিছু ফল যদি কাঁচা খেতে পারেন তাহলে শরীরে পাবেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। খাদ্যতালিকায় ফাইবার থাকা খুবই ভালো। পেট পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হবেন। চুল, ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা কমে। স্যালাডের মধ্যে লেটুস, বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, কড়াইশুঁটি, বিট, টমেটো, শশা, কর্ন থাকেই। আর ফলের মধ্যে আম, কলা, বেদানা, পেয়ারা, পেঁপে, ন্যাসপাতি, কমলা লেবু, স্ট্রবেরি, বাতাবি সহ আপনার পছন্দের সব ফলই রাখতে পারেন। শরীর ডিটক্সিফিকেশন থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ সবেতেই সাহায্য করে স্যালাড। তবে যারা সব্জি খেতে পছন্দ করেন না তারা ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন।
স্যালাড কখন খাবেনঃ
ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যে এই সময়টা স্যালাড খাওয়ার উপযুক্ত সময়। আর যদি ডিম বা চিকেন স্যালাড খান তাহলে লাঞ্চ না করলেও চলে। স্যালাড খাওয়ার উপযুক্ত সময় দুপুর বেলা। বাইরের কাটা ফল বা রাস্তায় সাজানো স্যালাড না খেয়ে বাড়িতে বানিয়ে খান। স্যালাড সবসময় ফ্রেশ খেতে হয়। আগে থেকে বানিয়ে রাখলে স্বাস্থ্যগুন নষ্ট হয়ে যায়।
ফ্রুট স্যালাড খাওয়ার উপকারিতাঃ
১। ফ্রুট স্যালাড খেলে আপনার শরীরে খুব সহজে রোগ দানা বাধতে পারবে না। আপনাকে স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী করে তলে।
২। ফ্রুট স্যালাড শরীরের পাশাপাশি আপনার ত্বকেও সুস্থ ও সুন্দর রাখে।
৩। ফ্রুট স্যালাড খেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।
৪। ফ্রুট স্যালাড আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে।
৫। ব্রেইনের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতেও ফ্রুট স্যালাড খুব উপকারি।
৬। হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ও এনার্জি বেশী করতে ফ্রুট স্যালাড দারুন উপকারি।
স্বাস্থ্য আপনার তাই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার দায়িত্বও আপনারই । তাই আর দেরি না করে প্রতিদিন কিছু পরিমানে ফল খান, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।