Date : 2024-04-20

বহু গুণের অধিকারী গুড়

রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : শীত মানেই গুড়ের পায়েস, পিঠে, রসগোল্লা আরও কতকি। শীতকালে সকালেও অনেকে গুড় খেতে ভালোবাসেন। তবে কি জানেন শরীর পক্ষে রীতিমতো উপকারী এই গুড়। শুধু খেজুর গুড়ই নয়, বারোমাসের আখের গুড়েও রয়েছে হাজারো গুণাগুণ। তবে বর্তমানে খাঁটি গুড় পাওয়া খুবই কঠিন বিষয়। শীতে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হয় কী কী গুণ রয়েছে গুড়ের? প্রচুর ভিটামিন আর মিনারেল সমৃদ্ধ গুড়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতে শরীর গরম রাখে। সর্দিকাশির হাত থেকে বাঁচায়। পেটের খেয়াল রাখতেও গুড় কার্যকরী। শীতে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়। এই সমস্যায় কমাতেও গুড়ের কোনও তুলনা নেই। খাওয়ার পর একটুখানি গুড় যদি মুখে দেন, তাহলে হজম প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়। যা শরীরকে সুস্থ রাখে। লিভারকে ডিটক্স করতেও গুড়ের জুড়ি মেলা ভার।

লিভারের টক্সিনকে শরীর থেকে বার করে দেয় এই অল্প একটু গুড়। শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এর ফলে। সহজে ঠান্ডা লাগতে পারে না।নিয়মিত গুড় খেলে বিভিন্ন রোগবিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট থাকে। যা রক্তাল্পতার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গুড়ে ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। এরফলে পেট ভাল থাকে। পায়ের ব্যাথা কমায় গুড়। গাঁটে ব্যথা কমাতেও গুড় সাহায্য করে। তবে গুড় যেহেতু মিষ্টি তাই অতিরিক্ত গুড় খেলে দেহে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। সদ্য তৈরি গুড় খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। আবার অন্যদিকে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের জবাব নেই। পটাশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার ফলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে গুড়। গুড়ের সরবত শুধু শরীরই নয, পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস না-থাকলে নিশ্চিন্তে গুড় খান। গুড় হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়ায়। রক্তাল্পতা রোধে এর বিকল্প নেই। তাই শীতকাল ছাড়া বারোমাসই গুড় খাওয়া যায়।