Date : 2024-04-24

মহানগরের পায়ে-পায়ে

রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : বাগবাজার বা ঠনঠনিয়ার অলিগলি। মহানগরীর আনাচে কানাচে এখনও হাতে টানা রিকশা বেঁচে রয়েছে। কলকাতার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে হাতে টানা রিকশা। করোনাকালে বিপাকে পড়েছেন এই রিকশার চালকরা। পুরভোটে ডান-বাম প্রার্থীদের প্রচারের বৃত্তের বাইরে থাকা এইসব মানুষের কথা আর প্লাস নিউজে। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও এখনও থেকে গিয়েছে কলকাতার ট্রাম, মেসবড়ি, পাইস হোটেল।এই ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হাতে টানা রিকশা। ঘোড়া এবং পালকির বিকল্প হাতে টানা রিকশা। মূলত উত্তর ও মধ্য কলকাতায় হাতে টানা রিকশা এখনও দেখা যায়। বেশ কয়েক বছর আগে এই রিকশা বাতিল হলেও এখনও কলকাতার রাজপথে তার অবাধ চলাচল। ১৯০০ সালে হাতে টানা রিকশা চালু হয় প্রথম কলকাতায়।মাল পরিবহণের জন্য কলকাতায় ব্যবহৃত হত হাতে টানা রিকশা।

প্রথমে চিনাদের মধ্যে এই রিকশার ব্যবহার দেখা যায়।এই চিনারা কলকাতা ও খিদিরপুর ডকে খালাসির কাজ করতেন। ১৯১৪ সালে যাত্রী পরিবহণে অনুমতি মেলে। ২০০৬ সালে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাতে টানা রিকশা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। প্রায় ১৫ বছর আগে বাতিল হলেও স্বমহিমায় এখনও বেঁচে রয়েছে এই রিকশা। বাতিল হয় ১৯১৯ সালের ‘ক্যালকাটা হ্যাকনি ক্যারেজ আইন’। তবে আগের ছবি এখন অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। দিন ফুরিয়ে আসছে কলকাতার হাতে টানা রিকশার। করোনাকালে দিন আনি দিন খাইদের রোজগার কমেছে। সেই সঙ্গে দুর্দশা বেড়েছে হাতে টানা রিকশা চালকদের। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি কেউ। ভোট আসে ভোট যায়। প্রতিশ্রুতি মেলে অনেক। কিন্তু কখনও সাহায্যের হাত বাড়াননি কোনও জনপ্রতিনিধি, এমনটাই বক্তব্য রিকশা চালকদের। রোজকার জীবনের লড়াই লড়তে তারা অভ্যস্ত। হাতে টানা রিকশার সঙ্গে মানুষগুলোর অস্তিত্বও আজ সঙ্কটে।