Date : 2024-04-27

কতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে ‘ নিউ নর্মাল ‘ পৃথিবী…..?

ওয়েব ডেস্ক : গত শুক্রবার রাতে আরকানসাস থেকে কেন্টাকি প্রর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে ৪০০ কিমি বেগে টর্নেডো বয়ে গিয়েছিল। রেহায় পায়নি মিসৌরি ও ইলিওনিসও। আমেরিকার এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক, এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ঝড় হবে আরও ভয়ঙ্কর, আরও বিধ্বংসী,আরও মারাত্মক। জলবায়ু যে ভাবে বদলাচ্ছে তাতে এটাই হবে আগামীদিনের পৃথিবীর জন্য ‘ নিউ নর্মাল ‘। আমেরিকার সাম্প্রতিক বিধ্বংসী টর্নেডোর পর তিনি আরও জানান জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে এই ধরনের ঝড় আগামীদিনে অস্বাভাবিক নয়। জলবায়ু পরিবর্তন হতে থাকলে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া ক্রমশ চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠবে বলে বারবার সতর্ক করেন আবহাওয়াবিদরা। প্রকৃতির সেই রুপ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা দেখা গেছে আমেরিকার কেন্টাকিতে। কয়েক মিনিটের মধ্যে টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পরেছে অসংখ্য বাড়িঘর। চলছে উদ্ধার কাজ। এক সংবাদমাধ্যমে আমেরিকার ফেডারেল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ডিন ক্রিসওয়েল জানান, ‘ এটাই হবে আমাদের নিউ নর্মাল। তিনি মনে করিয়ে দেন, জলবায়ু পরির্তনের জন্য আগামীতে সমস্যা হতে পারে।  তিনি আরও বলেন- আমরা আরও ভয়ঙ্কর ঝড়ের সাক্ষী হব , সে হারিকেনই হোক বা টর্নেডো, হতে পারে ভয়ঙ্কর দাবানলও। কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলতে পারে, সেই পথ ভাবতে হবে আমাদের।  ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের আগেই রাজ্যের অনেক জায়গায় দেখা মিলেছিল মিনি টর্নেডো।

শুক্রবার মধ্যরাতেই একাধিক টর্নেডো আছড়ে পড়ে আমেরিকায়। ঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেন্টারিতে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০। ঝড়ে মোমবাতি কারখানার ছাদ উড়ে যায়। কারখানার একাংশ ভেঙে বহু কর্মী মারা যায় ও আহত হয় বেশ কিছু কর্মী। এছাডাও ইলিওনিসের মাজনের ওয়ারহাউসেও মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। ঝড়ের সতর্কতা থাকলেও তা এতটা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করবে তা ভাবা যায়নি। শনিবার সকালে উদ্ধারকার্যের পর তা বোঝা যায়। চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে স্বজনদের খুঁজে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টর্নেডো নিয়ে প্রসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশন বার্তায় বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এখনও জানিনা যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই বা কতটা।