Date : 2024-03-29

দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : ওমিক্রন ভারতে ছড়াচ্ছে ঝড়ের গতিতে। এবার আতঙ্ক বাড়িয়ে দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আভাস মিলল। এই ব্যাপারে দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্রে জৈন জানিয়েছেন, রাজধানীতে সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। অন্যদিকে রাজধানীর করোনার হারকে তিনি গোষ্ঠী সংক্রমণের আগাম ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্রে জৈন জানিয়েছেন দিল্লিতে এমন মানুষও রয়েছেন যারা সংক্রমিত হয়ে পড়ছেন। অদ্ভুত বিষয় ওইসব মানুষদের অনেকেই বাইরে কোথাও যান নি। এখনও অবধি রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সূত্রের খবর, এখনও সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩ জন। ১১৫টি নমুনার মধ্যে প্রায় ৪৬টি নমুনাতেই ধরা পড়েছে ওমিক্রন। ভারতে যে হারে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তাতে লকডাউনও ঘোষণা করা হতে পারে। দিল্লিতে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট, যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অফিসে ৫০ শতাংশ লোকজন নিয়ে কাজকর্ম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশেই কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। সংক্রমণকে মাথায় রেখে এখনই লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে না বাংলায়। তবে কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনা হতে পারে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই ধারা অনুযায়ী বছর শেষের বিদায় ও নয়া বছরকে স্বাগত জানাতে যে সব উল্লাস ও আনন্দ পালন করা হয়ে থাকে, সে সব এবার কিছুই হবে না। এর পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সমস্ত পানশালা, রেস্তোরাঁ ও অনুষ্ঠান কেন্দ্র। ৩০শে ডিসেম্বর থেকে আগামী ৭ই জানুয়ারি অবধি জারি থাকবে ১৪৪ধারা। এর অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে। সাধারণত বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে তুমুল হই-হুল্লোড়ে মাতে বিভিন্ন দেশের মানুষ। তবে এবার সেই উন্মাদনাতে জল ঢেলে দিয়েছে ওমিক্রন ও করোনা ভাইরাস। তাই আগামী কয়েকদিনে সতর্ক হয়ে না থাকলে সংক্রমণকে কোনওভাবেই ঠেকানো যাবে না বলে মনে করছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশাদরদের একাংশ। প্রয়োজন মাস্ক ব্যবহারের, সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলার ও স্যানিটাইজেশন ব্যবহার করার।