ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: সাংসদ, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আইনজীবীরা অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন।অবিলম্বে যাতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় সতর্কও করেছিলেন ৷ এবার বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে৷ আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে৷ সেই অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও জমা পড়েছে। অভিযোগ করেছেন একদল আইনজীবী।
অভিযোগপত্রে আইনজীবীদের অভিযোগ, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মহিলা আইনজীবীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করেন তিনি। ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের অভিযোগ, লাগামহীন দুর্নীতি, লাঞ্চনার জন্য তাঁরা অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। অবৈধভাবে হাই কোর্টে পরিবারের সদস্যের জন্য চেম্বার করে দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মহিলা আইনজীবীদের অভিযোগ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সময় তাঁদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেছেন।
এর আগেও শ্রীরামপুর, হুগলির বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পোস্টারে দাবি করা হয়েছিল, শ্রীরামপুরের জন্য নতুন সাংসদ চাই। কোথাও আবার ‘দিদি’ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার প্রার্থনা করা হয়েছিল। কে বা কারা সেইসব পোস্টার দিয়েছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি। সোমবারও হুগলির বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতাহাই কোর্টের কয়েকশো আইনজীবী তাঁরা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।বেশ কয়েকজন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।