Date : 2024-04-25

গেম খেলতে বাধা, গুলিতে পরিবারের সবাইকে খুন

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : কোনও কাজে বাধা দেওয়া হলে যে তার পরিণতি এমন হতে পারে তা অন্তত আশা করেনি পাকিস্তানের এই পরিবার। মনের মতো কাজ করতে না দিলে হয়ত মান-অভিমান বা অশ্রাব্য ভাষায় কটুক্তি করে থাকেন কেউ। কিন্তু পাকিস্তানে যা হল তা একেবারেই অনভিপ্রেত। ঠিক কী ঘটেছিল। সূত্রের খবর পাক পঞ্জাব প্রদেশের এক নাবালকে গেম খেলতে দিতে বাধা দেওয়া হয়। তার প্রতিশোধেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই নাবালকের বিরুদ্ধে। তার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তারই মা, দাদা-সহ অন্যান্য পরিজনের। যথারীতি এই ঘটনা রীতিমত কাঁপিয়ে দিয়েছে স্থানীয় এলাকা-সহ গোটা অঞ্চলকে। জানা গিয়েছে ওই বাড়ির মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এছাড়াও আরও তিনটি দেহ পাওয়া গিয়েছিল ওই ঘরটিতে। প্রাথমিকভাবে কোনও দুষ্কৃতীর কাজ মনে হলেও পরে ওই ঘর থেকেই একটি নাবালককে পাওয়া যায়। এরপরেই শুরু হয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ। প্রথমে তাকে জেরা করে বিবৃতিতে একাধিক অসঙ্গতি পায় পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু টানা জেরা চলতে থাকলেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করে, বাবা, মা-সহ অন্যান্যদের খুন করেছে সে। জেরার মুখে সে জানিয়েছে প্রায়ই তাকে পাবজি খেলতে বকাবকি করতেন তার মা। এর ফলে রাগ জমতে থাকে তার মনে। দিন কয়েক আগে ফের গেম খেলার কারণে বকাবকি করলে, বন্দুকের গুলিতে সবাইকে ঝাঁঝরা করে দেয় সে। তবে প্রতিবেশীদের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে সে। পরে নিজের দোষ ঢাকতে খুনের কথা অস্বীকার করেছিল ওই নাবালক। সূত্রের খবর মৃত নহিদ নামে ওই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছিল। তিনি তাঁর ছেলে-মেয়েকে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে৤ কিন্তু এতজনকে খুন করতে আগ্নেয়াস্ত্র সে কীভাবে যোগাড় করল। জানা গিয়েছে ওই মহিলা সুরক্ষার জন্য বাড়িতে লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র রাখতেন। তা দিয়েই রাগের মাথায় পরিবারের সবাইকে নিকেশ করে বসে সে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে তার পরেও। আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে চালাতে শিখেছিল সে। কেনই বা তার আক্রোশ গিয়ে পড়ল পরিবারের সবার ওপর। আপাতত এসবেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।