Date : 2024-04-26

রাজ্যের আবেদন মেনেই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে নির্বাচন – কমিশন সুত্রের খবর

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছনোর ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের তরফে প্রশ্ন বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ভোট আগামী ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাকারীরা সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পুরভোট সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন।

রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকারও

মামলাকরির পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন পশ্চিমবঙ্গ সংক্রমণে ১ ম স্থানে রয়েছে। তাই এই হলফনামায় উল্লেখের দিকে না তাকিয়ে। নির্বাচন পেছানো উচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী দের অক্সিজেন নিয়ে সতর্ক করেছে।
বিকাশ রঞ্জন বাবু আর জানান নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ। ক্ষমতা আছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার।এই গুরুতর পরিস্থিতিতে আদালত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিক।

বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিজেপির পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বলেন রাজ্যে ৪০% পজিটিভ রেট। পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরাও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করছি।

পক্ষান্তরে কমিশনের পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান আইনের বলা আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে।
প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশ্যে Mr মিত্র, সংবিধান তো বলছে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তাহলে রাজ্যকে কমিশনের হ্যান্ডস বলতেনচাইছেন কেন??
কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র নেট ওয়ার্ক প্রবলেম।
শুনানি বন্ধ আছে(সাময়িক সময়ের জন্য সমস্যা তৈরি হয়)
রাজ্যের আইনজীবী শাক্য সেন :— রাজ্য আলোচনা করবে কমিশনের সাথে।
প্রধান বিচারপতি কে দিন ঠিক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে?
আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন দিন ঠিক করবে কমিশন। কিন্তু রাজ্য প্রস্তাব দিতে পারে

ফের প্রধান বিচারপতি কিন্তু mr মিত্র বলেছেন রাজ্য দিন ধার্য করে।
আইনজীবী সম্রাট সেন — এখন আর রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এবার সবটাই কমিশনের হাতে।
প্রধান বিচারপতি যে টেস্ট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে চান না চান না? রাজ্যকে আমি সরাসরি প্রশ্ন করছি।
আইনজীবী সম্রাট সেন জানানপড়ে জানাচ্ছি আমায় একটু সময় দিন
প্রধান বিচারপতি আপনি আর রাজ্য ভিন্ন সওয়াল করছেন দিন নির্ধারণ নিয়ে।
কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র :– আমি সহমত নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে।রাজ্য যা বলেছে আমিও তাই বলছি। কোনও ভিন্ন সওয়াল নয়। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের রাজ্যের সাথে আলোচনা করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে ভিন্ন মত দিচ্ছেন রাজ্য ও কমিশন।
পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে নেবে কমিশন নিজে? না রাজ্যের সাথে আলোচনা করে তবে?
কমিশনের আইনজীবী এই সিদ্ধান্ত র জন্য আমাদের২ দিন সময় দিন
কমিশনের আইনজীবী সোনাল আর জানান কমিশনের ভোট পিছবার কোনও আইনি প্রভিশন নেই।

প্রধান বিচারপতি কোনও সময় দেওয়া যাবে না।
কমিশনের আইনজীবী সোনাল এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে কথা বলে কোর্টে জানাবে।
শুনানি বন্ধ আছে। নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নেবার আগে কমিশন সিধান্ত নেবার আগে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
কমিশন এর আইনজীবী জিশ্নু সাহা :– নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের কোনও আইন নেই। তবে সময় দিন আমি কমিশনের অফিসার এর সাথে কথা বলে বলছি।

রাজ্যের আবেদন মেনেই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে নির্বাচন – কমিশন সুত্রের খবর