Date : 2024-04-24

Pithe Puli : বঙ্গের দুয়ারে পিঠে-পুলি

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : একটা সময় ছিল যখন পৌষ পার্বণ উতসবকে কেন্দ্র করে পিঠেপুলির জন্য ঢেঁকিতে চাল গুড়ো করতেন বাড়ির মহিলারা। ঘরে ঘরে পিঠে তৈরির হিড়িক দেখা যেত। যা আজকাল প্রায় দেখাই যায় না। রেডিমেড মিষ্টিতেই মজেছে বাঙালি। মকর সংক্রান্তির সময় বাঙালিকে পিঠের আনন্দ দিতে এখন দুয়ারেও পিঠেপুলি।

বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম পৌষ পার্বণ। পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করেই বাঙালিরা এই উতসবে মাতেন। এই উতসবকে কেন্দ্র করে চলে পিঠে পুলির আয়োজন। সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে পিঠে খাওয়ার আনন্দও। ব্যস্ততম জীবনে সময়ের অভাবে পিঠে এখন বাড়িতে সেভাবে তৈরি হয় না। মানুষের মুখে পিঠের স্বাদ তুলে দিতে দুয়ারে পিঠেপুলি নিয়ে হাজির হয়েছে হাওড়ার ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভান্ডার। ফোনের এক ক্লিকেই আপনার ঘরে পৌঁছে যাবে পিঠের নানান পদ।

শুধু এখানেই শেষ নয়, রয়েছে গুড়ের বিভিন্ন মিষ্টি। পাটিসাপ্টা, গুড় পাটিসাপ্টা, ক্ষীর মালাই পাটিসাপ্টা, সরুচাকলি, গুড়ের রাবড়ি, নলেন গুড়ের মালাই চমচম, নলেন গুড়ের দুধপুলি, নলেন গুড়ের রস বড়া, নলেন গুড়ের ক্ষীর কান্তি সহ একাধিক পদ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে রাস্তায় বেরোতে বারণ করছেন চিকিতসক থেকে প্রশাসন। দুয়ারে পিঠেপুলি করতে পেরে খুশি ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার সৈকত পাল।

দুয়ারে পিঠেপুলি পাওয়ার জন্য একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বর রয়েছে। তাতে ফোন করলেই হাজির দুয়ারে পিঠে-পুলি। বিশেষ করে বয়স্কদের অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে বলে জানান ক্রেতাদের একাংশ। একদিকে করোনা সংক্রমণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের কড়া বিধিনিষেধ। এই দুইকে মাথায় রেখেই দোকানে রয়েছে মাস্ক। দোকানে আসা ক্রেতাদের হাত স্যানিটাইজ করা থেকে শুরু করে দোকানে থাকা কর্মচারীরা যথাসাধ্য মুখে মাস্ক ও মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ পড়ছে কি না সবদিকটাই নজরে রেখেছেন সৈকত পাল। এই পরিস্থিতিতেও দুয়ারে পিঠেপুলির মাধ্যমে মিষ্টিমুখ করাতে পেরে আপ্লুত সৈকতবাবু।