Date : 2024-04-24

করোনার সংক্রমন রুখতে বাংলাদেশে ফের বন্ধ করা হল স্কুল কলেজ ও সমসাময়িক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্ক : দিন দিন লাগাম ছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনার প্রকোপ। তারই পাশাপাশি তান্ডব ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমন রুখতে স্কুল কলেজ ও সমসাময়িক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সীদ্ধান্ত নিল শেখ হাসিনার সরকার।

জানা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। ওমিক্রন সংক্রমন রুখতে ছয় দফায় জারি করা হয়েছে জরুরি নির্দেশিকা। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সমসাময়িক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, ধর্মীয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত থাকবে তাদের অবশ্যই করোনার টিকার প্রমানপত্র অথবা ২৪ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে।

সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি সমস্ত কর্মপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলের কাছে করোনার টিকার প্রমানপত্র থাকতে হবে। সেই সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তীপক্ষ এবিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে। বাজার, মসজিদ, লঞ্চ ঘাট সহ বিভিন্ন জায়গা যেখানে জনসমাগম হয় সেখানে মাস্ক বাধ্যতামূলক। সমস্ত বিধিনিষেধ স্থানীয় প্রশাসনকেই কঠোর ভাবে পালন করাতে হবে।

মাস্ক ব্যবহার ও যানবাহন চলাচল নিয়ে ইতি মধ্যে ১১ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর দশ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। এই বছরই ১৭ মার্চ থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সীদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনার সরকার। এরপর করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে থাকলেও সম্প্রতি করোনা সংক্রমন লাগাম ছাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নির্দেশিকা জারি করল সরকার। বাংলাদেশে নতুন করো ১০ হাজার ৮৮৮ জনের করোনা সংক্রমন ধরা পড়েছে।