Date : 2024-04-19

থামল ১৯ বছরের পথচলা, সাধারণতন্ত্র দিবসে বিদায় নিল বিরাট

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : আর দেখা যাবে না তাকে। ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসেই অবসর নিয়ে আস্তাবলের পথ ধরল রাষ্ট্রপতির ঘোড়সওয়ার বাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘোড়া বিরাট। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিদায় নিল বিরাট। দীর্ঘ ১৯ বছরের কর্মজীবন ছিল বিরাটের। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতির ঘোড়সওয়ার বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বিরাটকে। এরপরে শুধুই সাফল্যের খতিয়ান। সূত্রের খবর, প্রায় এক দশক ধরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। ওই ঘোড়াটি জাতিতে হ্যানোভারিয়ান প্রজাতির ছিল। তার গায়ের রং ছিল বাদামী রঙের। কর্তব্যপরায়ণ ও কাজের প্রতি দায়িত্বশীল বলেও পরিচিত ছিল এই অশ্বটি। অন্য ঘোড়াদের সঙ্গে বিরাটের তফাত ছিল তার চেহারা আকার-আয়তনে। এই দিক থেকেই অন্যন্য ছিল সে। একইসঙ্গে বিরাট ছিল অসম্ভব ক্ষিপ্রও। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল বিরাটের।

২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজের দিন দেখা গেল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। বুধবার রাজধানী নয়া দিল্লিতে দেখা যায় বিরাটের পিঠে সওয়ার হয়েছেন পিজিবি-র কর্ণেল অনুপ তিওয়ারি। তাঁর উপস্থিতিতে বিরাটের পিঠ চাপড়ে তার সুদীর্ঘ কর্ম জীবনের ইতি টানার ঘোষণা করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। উনিশ বছর ধরে হাজারো ঝড়-ঝঞ্ঝার সম্মুখীন হতে হয়েছে বিরাটকে। এসেছে শত বাধা। তবে সমস্ত বাধার প্রাচীর টপকে দেশের কর্তব্যে অবিচল ছিল সে। কিন্তু এবার বিরাটের ঘরে ফেরার পালা। এবার তার লক্ষ্য কী হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে করোনা আবহ মেনে নয়া দিল্লিতে সম্পন্ন হয় ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর মাথায় এদিন ছিল উত্তরাখণ্ডের একটি বিশেষ টুপি। সে রাজ্যের ঐতিহ্যশালী টুপি বলে পরিচিত সেটি। এছাড়াও মণিপুরের এক বিশেষ ধরনের চাদর ছিল তার গলায়। বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদদের সম্মান জানাতেই এই দুই পোশাক পরেছিলে প্রধানমন্ত্রী। ওই টুপির সামনে ছিল ব্রহ্মকমলের চিহ্ণ। ব্রহ্মকমল উত্তরাখণ্ডের রাজ্য ফুল হিসেবে পরিচিত।