Date : 2024-04-19

করোনায় মৃত্যু বাড়ছে আমেরিকায়

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : করোনা ও ওমিক্রনের দাপটে পর্যুদস্ত বিশ্ববাসী। এর মধ্যেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে আমেরিকায়৤ সূত্রের খবর, সেখানে মোট মৄতের সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়াল। স্বভাবতই এই খবরে উদ্বেগে রয়েছেন স্বাস্থ্য বিশারদরা। ওমিক্রন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিশ্বের চিকিৎসকদের কপালে। কোভিডের এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা ততটা না থাকলেও, সংক্রমণ ক্ষমতা রয়েছে বহুগুণ। করোনার আগের প্রজাতিগুলির থেকে ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটাই বেশি। মার্কিন মুলুকে ওমিক্রনের জেরে মৃত্যুহার বে়ড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে আমেরিকায় জনসংখ্যা বেশি বলেই ওমিক্রনের দাপটে মৃত্যুর হার বাড়ছে সে দেশে। তবে সম্প্রতি সেখানে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে কিছুটা রাশ দেখা গিয়েছে।

সূত্রের খবর কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গে সর্বোচ্চ মৃত্যুর একদিনের গড় ছিল ২৬৭৪। সেই গড়ই এখন কমে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫২৯-এ। পাশাপাশি সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, দুটি টিকার মাঝখানের ব্যবধান কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ফাইজারের দুটি ডোজ নেওয়ার সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে তিন সপ্তাহে। এছাড়াও মর্ডাণার প্রতিষেধকও ব্যবধান আনার কথা ঘোষণ করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চার সপ্তাহ করা হয়েছে। তবে এতে প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা কম মিলছে বলে জানা গিয়েছে। এছা়ড়া হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিশ্বে এখন ওমিক্রনের রেখচিত্র অনেকটাই নীচের দিকে। ইউরোপের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল ব্রিটেনে। তবে এখন সে দেশে করোনা পরিস্থিতির ছবিটা আশঙ্কাজনক নয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারি অফিসে একশো শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মাস্কও অত্যাবশ্যকীয় নয় বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও এখনও বিশ্বে করোনার ছবিটা পুরোপুরি সুস্থের দিকে নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা ভরসা রাখছেন, টিকার ওপরে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ববিধি ও সমস্ত করোনা-বিধি মেনে চলার ব্যাপারেও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি টোঙ্গা দ্বীপেও পাওয়া গিয়েছে করোনার উপস্থিতি। সংক্রমণের ঘেরাটোপ থেকে এতদিন পর্যন্ত বাঁচানো ছিল ওই দ্বীপকে।