Date : 2024-04-16

ফের করোনা বাড়ছে চিনে

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : আবারও কোভিড চোখ রাঙাচ্ছে চিনে। সে দেশে শীতকালীন ওলিম্পিকের মরশুমে ফের কোভিডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে চিনে। স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় রয়েছে বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ রুখতে এবার বেজিংয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষকে গৃহবন্দিকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শি জিংপিং এর সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী ভিয়েতনাম ও চিন সীমান্তের একটি শহরে সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ওই প্রদেশের নাম দক্ষিণ গুয়াংসি। ওই প্রদেশে বসবাস করেন প্রায় ৩৫ লক্ষ বাসিন্দা। ওই অঞ্চলে প্রায় ৭০ জনের দেহে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই খবর জানাজানির পরেই ওই এলাকা থেকে মানুষদের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও এই অঞ্চলে যাতে বাইরে থেকে কোনও যান-বাহন না ঢুকতে পারে সেদিকেও দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। অন্যান্য এলাকা থেকে যাতে কোনওভাবেই মানুষ না ঢোকে সেদিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মাঝখানে শোনা গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে বেজিং। কড়াকড়ি তোলার ব্যাপারেও প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওমিক্রনের পরে সেই ছবিটা পাল্টে গিয়েছিল।সংক্রমিতদের খাঁচাবন্দি করে রাখার কানাঘুষোও শোনা গিয়েছিল সে দেশে। ঠিক কী ভাবে ছড়িয়ে প়ড়ল সংক্রমণ। জানা গিয়েছে পড়শি দেশ ভিয়েতনাম থেকে প্রায় একশো কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ওই এলাকা। প্রথম সংক্রমণের খবর শোনার পরেই রাতারাতি প্রায় ৭০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। এই খবরের জেরেই চিন্তা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে গণহারে পরীক্ষা। এর পাশাপাশি মায়নমার ও ভিয়েতনাম সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংক্রমণ ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনাও যথেষ্ট চাপে রেখেছে চিনকে। বস্তুত ২০১৯-এর শেষের দিক থেকে চিনের উহানে এক অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিভিন্ন দেশে। মহামারি পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায় বিশ্বের একাংশে। এই ভাইরাসই পরে কোভিড বা করোনা নামে পরিচিত হয়৤ করোনার হাত থেকে আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারতের মতো একাধিক জনবহুল দেশ নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। যদিও পরে কোভিডকে রুখতে আবিষ্কার করা হয় টিকা। কিন্তু এখনও গোটা বিশ্বকে টিকার আয়ত্বে আনা যায়নি। কতদিনে পুরোপুরি করোনা নির্মূল হবে, তা নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি।