Date : 2024-04-18

পৌর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:- ১২ই ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের চার পুরসভার নির্বাচন।বিধাননগর,চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি।বিধাননগরে নির্বাচনে আগেই অশান্ত হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিজেপি।তাঁদের দাবি রাজ্যের পুর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হোক।সেই মামলার শুনানিতে সিপিআইএমের পক্ষের আইনজীবী সভ্যসাচি চট্টোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে জানান ভোটার দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিৎ করতে হবে।প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করতে হবে, ভোটারদের আস্থা ফেরাতে।এবং যিনি নির্বাচনে প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বসবেন তাঁকে সেই ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে আদালতে জানান আইনজীবী
এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন নির্বাচনে দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যে হাতে আইনশৃঙ্খলা দায়িত্ব থাকে না।পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে।তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি জানান কিছু সময়ের প্রয়োজন।
বিধান নগরের একজন ভোটারের পক্ষের আইনজীবী সৃজিব চক্রবর্তী আদালতে জানান সাম্প্রতিক কলকাতা পুর নির্বাচনে অশান্তি হয়েছে, বোমাবাজি হয়েছে।২০১৫সালে বিধাননগর পুর নির্বাচনে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল।কিন্তু১২০১৬সালের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হওয়ায় কোন অশান্তি বা গন্ডগোল হয়নি।আমি একজন ভোটার আমার নিরাপত্তা কোথায়?পোলিং স্টেশনে যেতে আমি ভিতস্তত বোধ করছি।তাই আদালতের কাছে আমার আবেদন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হোক। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার।আগের নির্বাচন গুলি খতিয়ে দেখা হোক।কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন ? কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকার কে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য্য আদালতে জানান কলকাতা পুর নির্বাচন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে রাজ্যে পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করলে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়। মানুষ তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যেতে পারেন না শুধুমাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার কারণে।তাই রাজ্যের পুর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হোক যাতে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারেন।

আগামীকাল বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানিপ্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।