Date : 2024-04-27

সদ্যোজাতের দেহ ছিড়ে খেল কুকুর

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার বালাসোরে৤ সেখানকার একটি লাশঘরের সামনে প্রায়ই কিছু পথ কুকুরকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বেশ কিছু কুকুরের মুখে রক্ত দেখতে পাওয়া যায়। অন্য কয়েকটি কুকুরের মুখে নাড়িভুড়ি জাতীয় কিছু দেখেও সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর৤ খোঁজাখুঁজির পরে নজরে আসে কয়েকটি সদ্যোজাতের দেহ। জানা গিয়েছে ওই হাসপাতালের পিছনের লাগোয়া গেটে রয়েছে মর্গ বা লাশঘর। সেখানে কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিল সেগুলি। তারপর ওই সদ্যোজাতের দেহ নজরে আসে কুকুরগুলির। ওই দেহটি টেনে-হিঁচড়ে এনেছিল কুকুরগুলি। তারপরেই সেগুলি খাওয়া শুরু করে দেয় তারা। গোটা ঘটনাটি স্থানীয়দের নজরে এলে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে। পুলিশকর্মীরা এসে ওই সদ্যোজাতের আধখাওয়া দেহটি সরিয়ে দেয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ উঠে এসেছে। এই ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের গাফিলতি ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে।

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বালাসোর এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছিল। তার জেরেই ওই সদ্যোজাতের দেহ কোনওভাবে ভেসে এসেছে কি না সেই বিষয়টি ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তোপ দেগে এক সমাজকর্মী বলেছেন, প্রায়ই ওই হাসপাতাল চত্বরের বাইরে নবজাতকদের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। আর তা কখনও কখনও কুকুরের খাদ্য হিসেবে পরিণত হয়। এর কারণ হিসেবে থাকে কন্যা সন্তান। প্রায়শই কন্যা সন্তান হলে কোনও নির্জন জায়গায় তা ফেলে দেওয়া হয়। অথবা হত্যা করা হয় নবজাতককে। তবে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে একটি আধখাওয়া দেহ পাওয়া গিয়েছে। তবে কীভাবে দেহটি সেখানে এল তা নিয়ে মুখ খোলেন নি তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, কেউ হয়ত হাসপাতালের বাইরে সদ্যোজাতকে রেখে গিয়েছিল৤ সেটিই পরে পথ কুকুরেরা খেয়েছে। পুরো ঘটনা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অনেক সময় দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারির অভাবে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতদের। অথবা ভুল চিকিৎসার কারণেও মর্মান্তিক পরিণতি হয় শিশুদের।