Date : 2024-03-28

পর্দার আড়াল সরিয়ে সামনে এল স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটি

ওয়েব ডেস্ক : অপেক্ষার শেষ। পর্দার আড়াল সরিয়ে সামনে এল স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটি। হায়দরাবাদের সামশাবাদে 216 ফুট উচ্চতার সন্ত রামানুচার্যের মূর্তি এখন বিশ্বের অন্যতম বিষ্ময়। 34 একরের বেশি জমির ওপর অবস্থিত এই মূর্তি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম। আজ হায়দরাবাদের সামশাবাদে এই ২১৬ ফুট উচ্চতার সন্ত রামানুচার্যের মূর্তি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ।

সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক সন্ত রামানুজাচার্য সমাজের সব স্তরের মানুষের সমানাধিকারের পক্ষে ছিলেন। তাই তাঁর এই বিশালাকায় মূর্তির নাম রাখা হয়েছে স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটি। সন্ত রামানুজ পরিচিত ছিলেন রামানুচার্য নামেও। ১০১৭ খ্রীস্টাব্দে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুবুদুরে জন্মগ্রহণ করেন রামানুচার্য। ২০১৭ সালে তাঁর জন্মের হাজার বছর পূর্ণ হয়। প্রেম, সাম্য ও ভক্তির মার্গই হল ঈশ্বরপ্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ পন্থা। এই মন্ত্রই আজীবন অনুসরণ করেছেন তিনি। সেই সন্ত রামানুচার্যের জন্মজয়ন্তীতেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হল তেলেঙ্গানার সামশাবাদে। 54 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের ওপর বসানো হয়েছে এই মূর্তি। শ্রী রামানুচার্য আশ্রমের শ্রী চিন্নাজিয়ার স্বামী এই মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেন। ভবনের নাম দেওয়া হয়েছে ভদ্রাবেদী। এখানে রয়েছে বৈদিক ডিজিটাল গ্রন্থাগার ও গবেষণাকেন্দ্র, ভারতীয় প্রাচীন গ্রন্থ সংগ্রহালয়, থিয়েটার, শ্রী রামানুচার্যের জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত শিক্ষামূলক গ্যালারি।

এই মূর্তির বৈশিষ্ট্যগুলির দিকে নজর রাখা যাক –

  • থাইল্যান্ডের বুদ্ধমূর্তি বিশ্বের উচ্চতম বসে থাকা মূর্তি। এই মূর্তির উচ্চতা 92 মিটার বা 302 ফুট। রামানুচার্যের স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম। স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটির উচ্চতা 65.84 মিটার বা 216 ফুট।
  • সোনা, রুপো, তামা, পিতল ও জিঙ্কের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে মূর্তিটি। 1017 থেকে 1137 খ্রীস্টাব্দ অর্থাৎ 120 বছর বেঁচে ছিলেন রামানুজ আচার্য। কর্মবহুল সেই 120 বছরকেও সম্মান জানাতে পৃথক একটি মূর্তি।  গর্ভগৃহের ভিতরে 120 কেজি সোনা দিয়ে তৈরি হয়েছে সেই মূর্তি।
  • স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে 1000 কোটি টাকা। সম্পূর্ণ অর্থই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা অনুদান হিসাবে পাঠিয়েছেন।
  • সামশাবাদে 34 একর জমির ওপর তৈরি এই বিশালাকায় মূর্তি। স্ট্যাচু অব ইকোয়ালিটিকে ঘিরে রয়েছে 108টি কষ্টিপাথরের মন্দির। কষ্টিপাথরের এই মন্দিরগুলি দিব্য দেশম নামে পরিচিত। রামানুচার্যের মূর্তির পাশাপাশি 108টি বিষ্ণু মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এইসব মন্দির রয়েছে বদ্রীনাথ, মুক্তিনাথ, অযোধ্যা, তিরুমালার মন্দিরের আদল।

২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। সেই বছরই এই মূর্তিটি স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৬ সালে শুরু হয় নির্মাণকাজ। প্রাথমিকভাবে যে সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় সময় কিছুটা বেশিই লেগেছে। ফলে খরচও কিছুটা বেড়েছে।