Date : 2024-04-19

চার পুরনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিইনি: প্রধান বিচারপতি

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:– ২২শে জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভা বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যে সময় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল সে সময় রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধমুখী হওয়ায় ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে সিপিআইএম এবং বিজেপি।

সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন করোনা পরিস্থিতি র কথা মাথায় রেখে কমিশন ৪-৬ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানায় কমিশন কে।
কমিশনের পক্ষ থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয় ২২শে জানুয়ারি তে হওয়া চার পুর সভার নির্বাচন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তি পরেই ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার মামলার শুনানিতে মামলাকরির পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য আদালতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৪-৬সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা।কিন্তু কমিশন ৩ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন।আমি মনে করছি এটা কমিশন আদালত অবমাননার করেছেন।
আদালত যেখানে ৪-৬সপ্তাহে র জন্য পিছিয়ে দিতে বলে ছিল কমিশন কিসের ভিত্তিতে ৩সপ্তাহ পিছলেন।
প্রধান বিচারপতিবলেন তিন সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন তাতে কি হয়েছে।আমি কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিইনি কমিশনকে।
বিকাশ বাবু বলেন আদালত তার রায়ে ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে বলেছেন।
জিষ্ণু সাহা আদালতে জানান রাজ্য সরকারের নপক্ষ থেকে কমিশনে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটাই পালনে ব্যার্থ কমিশন।

শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ।