পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহামারীর দাপট স্তিমিত হয়েছে ভারতে। রোজকার কোভিড পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখলেই তা চোখে পড়ছে। সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড গ্রাফ আরও নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। তবে ভারতে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হলেও চিনে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। সবচেয়ে বড় বাণিজ্য শহর সাংহাইতে এবার শুরু হল লকডাউন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫,৮৫৯। যা মোট আক্রান্তের তুলনায় মাত্র ০.০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টা মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫৬৭ জন। এ নিয়ে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.৭৫ শতাংশ।এদিকে, করোনা মোকাবিলায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে।
জুনে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার আগে দেশবাসীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্র। এদিকে, চিনে ফের নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করেছে মহামারী। আগেই রাজধানী বেজিং-সহ একাধিক শহরে লকডাউনের পরিস্থিতি হয়েছিল। আর সোমবার থেকে বাণিজ্য শহর সাংহাইতে লকডাউন শুরু হল। জানা গিয়েছে, সেখানে আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই উপসর্গহীন। তা ‘স্টেল্থ ওমিক্রনে’র প্রভাব বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে চিন্তায় পড়েছে সে দেশের সরকার। প্রাথমিকভাবে লকডাউনের মাধ্যমে রোখার চেষ্টা করছে সে দেশের সরকার। সাংহাইয়ের অন্তর্গত পুডং আর্থিক জেলা এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে, সাংহাইয়ে মাঝ দিয়ে বয়ে চলা হুয়াংপু নদীর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ ঘনবসতিপূর্ণ ডাউনটাউন এলাকায় শুরু হবে পাঁচ দিনের লকডাউন।