নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার বন্ধের ডাক দিয়েছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। জনজীবনে যাতে ধর্মঘটের প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর রেখেছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও সোমবার সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে অশান্তির ছবি। ধর্মঘটের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়ে বইপাড়াতেও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মোদি সরকারের বিরোধিতা জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে।
সোমবার ধর্মঘটের প্রথম দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন করতে দেখা যায় বাম সমর্থকদের। এদিন সকাল থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখায় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। শুধুমাত্র উপাচার্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদেরও কাছেও এদিন পঠনপাঠন বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। অনেকেই ধর্মঘটের সমর্থন করেছেন বলে জানায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দেবনীল পাল। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ক্লাস হয়নি বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
ধর্মঘটিদের দাবি বেসরকারিকরণ,পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি আর তার সাথে শ্রমকোডের মত মানুষমারা আইনে জর্জরিত দেশের সাধারণ মানুষ। তাই জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে সারা ভারতব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর ধর্মঘট সফল করতে দিনভর রাস্তায় নেমে আন্দোলন দেখায় বামপন্থী ছাত্র যুবরা। এদিন একদিকে কলেজ স্ট্রিট পথ অবরোধ করা হয় তমনি অন্যদিকে যাদবপুরের পড়ুয়ারা চার নম্বর গেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।