Date : 2024-04-19

যাদবপুরে অডিও বিতর্ক। টিচারের কলার ধরার হুমকি। অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক ঃ আলিয়ার পর এবার অডিও বিতর্ক যাদবপুরে। অডিওতে এক ছাত্রনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কোন টিচারের কলার ধরতে হবে, আমাকে বলুন।’ “এত বড় ক্ষমতা রাখে সঞ্জীব প্রামাণিক।’
যদিও এই অডিয়ো ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি আরপ্লাস নিউজের ডিজিটাল।

অডিওতে যার কথা শোনা যাচ্ছে তিনি নিজেকে সঞ্জীব প্রামাণিক বলে সম্বোধন করেছেন।
অভিযুক্ত সঞ্জীব প্রামাণিক হলেন তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা।অডিওতে সঞ্জীবকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছি যাদবপুর ইউনিভর্সিটিতে। কেন…কেন? আমি আজকে দাঁড়িয়ে বলছি, কোন টিচারের কলার ধরতে হবে সঞ্জীব প্রামাণিককে বলো। এত বড় ক্ষমতা রাখে সঞ্জীব প্রামাণিক। আমার হিস্ট্রি, অ্যাক্টিভিটি অনেকে জানো না।’’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি কাউকে নিজের ফুটেজ বা আমার বিষয়ে কিছু বলি না। যারা এই মিটিংয়ে প্রেজেন্ট আছো, তারা খুব কম জনই জানো আমার অওকাত সম্পর্কে। আজকে দাঁড়িয়ে জুটার কোন লোকের কলার ধরতে হবে, সঞ্জীব প্রামাণিক ধরে দেবে। কিন্তু বাকি কেউ পারবে না।’’
অভিযুক্ত ব্যক্তি সঞ্জীব প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ এটা তদন্ত সাপেক্ষ। আমি কি ভাবে কোথায় বলেছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা প্রকাশ্যে না আভ্যন্তরীন বলা হয়েছে সেটাও একটা বিষয় আছে। আমি কবে বলেছি কোথায় বলেছি অডিও এটা বলা মুসকিল। আমি আরও কি বলেছি, না বলছি সেই কন্টেইন্টটা বুঝতে হবে। পুরো অডিও প্রকাশ্যে না আসলে কিছু বলা মুসকিল।’ অর্থাৎ তিনি অস্বীকারও করেননি যে ওই অভিডো ক্লিপটি তাঁর নয়।

জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতীম রায় বলেন-
“এই অডিওটা শোনার পর আমরা হতবাক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কটা একটা ভালো জায়গায় আছে। আমরা মনে করি কতিপয় ছাত্র নেতা এটা বললেও এদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী দের যোগ নেই। যাদবপুরের শিক্ষকরা আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার সুস্থ্য পরিবেশ বজায় রাখতে লড়াই করবে।’ এই অডিও ক্লিপের বিরোধিতা জানিয়ে ময়দানে নেমেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এটি অত্যন্ত নক্ক্যর জনক ঘটনা বলে মত এসএফআই এর সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের।

সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হেনস্তার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল শিক্ষকমহলে। তারপরে ফের এই ধরনের ভাইরাল অডিও ক্লিপ শুনে ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল।