Date : 2024-03-28

আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বডি তৈরির দাবি ইউনাইটেড গার্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক ঃ জি ডি বিড়লা সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলিতে সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দেওয়ার অপরাধে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি বেশ কিছু পড়ুয়াকে। এমনই অভিযোগ অভিভাবকদের। এই নিয়ে আদালতের দারস্থ হন তারা। তবুও স্কুল তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। এর প্রতিবাদে এবার রাস্তায় অভিভাবকেরা।

বেসরকারি স্কুলগুলোর দৌরাত্ম্য কে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বডি তৈরির দাবি তুলেছেন ইউনাইটেড গার্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন। এই দাবিতে অভিভাবকেরা মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল থেকে শুরু হয়ে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করেন।

এই মিছিলে ভুক্তভোগী পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ছাড়াও কলকাতা ও শহরতলীর বহু স্কুলের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ” করোনা পরিস্থিতিতে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা শুধু অমান্য করেছে তাই নয়, রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯ অনুযায়ী শিক্ষার যে অধিকার ছাত্র – ছাত্রীদের রেজাল্ট না দিয়ে, পরবর্তী শ্রেণীতে পড়তে না দিয়ে তা ব্যাহত করেছে।

আইনকে যারা মানছে না তারাই আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা বলছে ! স্কুল খোলার নোটিশে তারা জানিয়েছে, যারা স্কুল কর্তৃক ধার্য করা ফি (হাইকোর্ট নয়) দিয়েছে তারা প্রবেশের অনুমতি পাবে। আমরা স্তম্ভিত।’ তিনি আরও জানান,” হাইকোর্টের রায় কে বারবার অমান্য করে চলেছে অথচ আমরা এই স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না। অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেও মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুবই সংকটগ্রস্ত অথচ বেসরকারি স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই পড়ুয়া পিছু ২০% থেকে ৬০% ফি বাড়িয়েছে। তাঁর আরও দাবি, “ফি বৃদ্ধির ফলে স্কুলের বার্ষিক আয় ১২৫% থেকে ১৪০% বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ তাই ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, রাজ্যে বেসরকারি স্কুলের এই দৌরাত্ম্য রুখতে আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বডি তৈরি করা হোক। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই বেসরকারি স্কুলগুলোর বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। এই অচলাবস্থা দূর করে অবিলম্বে সমস্ত ছাত্র – ছাত্রীর জন্য স্কুল খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

ইতিমধ্যেই যে সমস্ত পড়ুয়ারা সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দেওয়ার জন্য জি ডি বিড়লা সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলিতে প্রবেশ করার অনুমতি পাইনি। সেই সমস্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা ন্যায় বিচারের আসায় আদালতের দারস্থ হয়েছেন।