সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এখনও মনে করা হয় ম্যালেরিয়া ‘মেজর গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন’। প্রতিবছর অন্তত ৩০-৫০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। মৃত্যুর হারও যথেষ্ট ভীতিজনক।
আফ্রিকা এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকাতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। গরম আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি ছড়িয়ে পড়ে। হাই অল্টিটিউডে সাধারণত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নেহাত কম নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর আনুমানিক ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। মশাবাহিত এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। সাধারণত মশার কামড়ের ১০ থেকে ১৫ দিন পর রোগের উপসর্গগুলি দেখা যায়।
ম্যালেরিয়ার লক্ষ্মণ —
নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে।
মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা শীত শীত অনুভব,
গায়ে মারাত্মক ব্যথা এবং মাথাব্যথা।
বমি-বমি ভাব
ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়—
বাড়ির আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না।
রাতে মশারি টাঙানো আবশ্যক
ওডোমস জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করুন শরীরের খোলা অংশে।
বাড়িতে টব থাকলে খেয়াল রাখুন সেখানে জল জমছে কিনা।
বাড়ির প্রতিটি কোণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কীটনাশক স্প্রে করুন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতির পরেও এখনও এই রোগ নির্মূল করা যায়নি। ফলে মশা দূর করতে, মশার লার্ভা ধ্বংস করার বার্তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে সচেতনতা প্রচার করা হয়। কিন্তু যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হল মানুষের সার্বিক সচেতনতা।