Date : 2024-04-19

অনিয়ম আটকাতে আমলা ! ২২ জেলার দায়িত্বে ২১ জন আইএএস।

সঞ্জু সুর,সাংবাদিক:- রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সঠিক রূপায়ন ও তদারকির জন্য জেলা‌ওয়াড়ি অফিসার নিয়োগ করল নবান্ন। ২২ টি জেলার জন্য ২১ জন আইএএস পদমর্যাদার অফিসার নিয়োগ করা হল। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি তাঁরা ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির‌ও তদারকি করবেন।

দিন তিনেক আগে জেলা সফরে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে তার কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তা দেখার জন্য আধিকারিকদের আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি যাতে যথাযথভাবে হয় সেটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়টি দেখার জন্য তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, এই সংক্রান্ত একটি অর্ডার জারি করেছে প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দফতর। অর্ডার অনুযায়ী রাজ্যের ২২ টি জেলার জন্য ২১ জন আমলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী পুরুলিয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত গুপ্ত কে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বিবেক কুমার। উত্তর ২৪ পরগণা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার দায়িত্বে যথাক্রমে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ কুমার আগর‌ওয়াল ও হৃদেশ মোহন। মূর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে প্রধান সচিব পদমর্যাদার আইএএস আধিকারিক ডঃ কৃষ্ণ গুপ্তা, ঝাড়গ্রামে বরুণ কুমার রায়, পূর্ব বর্ধমানে রোশনি সেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রভাত কুমার মিশ্রা, দক্ষিণ দিনাজপুরে অনুপ কুমার আগর‌ওয়াল, বাঁকুড়ায় নন্দিনী চক্রবর্তী, হুগলীর দায়িত্বে সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জন্য সুরেন্দ্র গুপ্তা, জলপাইগুড়ি তে ওঙ্কার সিং মিনা, মালদহের দায়িত্বে পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী, হাওড়ায় ছোটেন ডি লামা, উত্তর দিনাজপুর এর জন্য মহম্মদ গোলাম আলি আনসারি, বীরভূমে ডঃ পি বি সেলিম, আলিপুরদুয়ার এর জন্য ডঃ সৌমিত্র মোহন, কোচবিহারে অবনীন্দ্র সিং, পশ্চিম বর্ধমানে পি মোহনগান্ধী ও নদীয়া জেলার দায়িত্বে রাখা হয়েছে সঞ্জয় বনশল কে।


এর আগেও ‘দুয়ারে সরকার’ বা ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি চলাকালীন বিভিন্ন আইএস‌এস পদমর্যাদার আধিকারিকদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার এই দুই কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঠিক ও যথাযথ রূপায়নের দায়িত্ব সরকারের এই আমলাদের কাঁধে তুলে দিয়ে সরকার আসলে প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে যে কোনো রকম অনিয়ম আটকাতে চাইছে। এক বছরের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে যা ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে সেই নির্বাচন এগিয়ে আনাও হতে পারে। ফলে সরকারি প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে কাটমানি বা তোলাবাজির মতো অনিয়মের অভিযোগ যাতে না ওঠে, তা সুনিশ্চিত করতেই একঝাঁক আমলাকে জেলাওয়াড়ি দায়িত্বভাগ করা হল বলেই মনে করা হচ্ছে।