Date : 2024-03-28

মহার্ঘ্য জ্বালানি। রাস্তায় বাস কম। পরিবহন দফতরের রিপোর্ট তলব নবান্নের।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যেই রাস্তায় বেসরকারি বাস প্রায় অর্ধেক। ক্রমশঃ কমছে সরকারি বাসের সংখ্যাও। হয়রানি বাড়ছে নিত্য যাত্রীদের। সুরাহা খুঁজতে পরিবহন দফতরের থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলো নবান্ন।

এই বছর জানুয়ারি মাসে এক গাড়ি ডিজেল কিনতে যেখানে খরচ পড়ে ১০.৪৩ লক্ষ টাকা, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৫০ লক্ষ টাকা। ফলে গাড়ি প্রতি শুধুমাত্র তেলের খরচ বেড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বেশি। কিন্তু সরকারি বাসের ভাড়া এক পয়সাও বাড়ানো হয় নি। এই মূহুর্তে সরকার বাস ভাড়া বাড়ানোর পথে হাঁটতেও রাজি নয়। তবে বিকল্প উপায় কি ? নবান্ন সূত্রে খবর, পরিবহন দফতরের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।

এই মুহূর্তে শহর কলকাতায় ব্যাটারি চালিত বাসের সংখ্যা প্রায় ১০০ টি। কিন্তু রোজ রাস্তায় নামছে ৬০ থেকে ৬৫ টি। বাকি বাস প্রতিদিনকার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্যারাজে বা ডিপোতে থাকে। এই ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না, সেটাও দেখা হবে। ব্যাটারি চালিত বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি নিগমের বাসের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে গত কয়েক মাসে। রোজ ভূতল পরিবহন নিগমের বাস পথে নামতো ১৭০ থেকে ১৯৫ টি। সেই সংখ্যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১০০ টির মতো। সিএসটিসি-র ৫৫০ থেকে ৬৫০ টি বাসের জায়গায় এখন রাস্তায় নামছে ৪০০ টি। সিটিসি-র ৩৫০/৪০০ টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টি। এমনিতেই সরকারি পরিবহন নিগমগুলি শুধু বাসভাড়া থেকে তাদের সব খরচ তুলতে পারে না। তার উপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি তাদের লোকসানের পরিমান আরো বাড়িয়েছে। ফলে ট্রিপ কমিয়ে খরচ কমানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে নিগমগুলি। কিন্তু এরফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরো বেড়েছে। সাধারণ মানুষের এই সমস্যা কিভাবে মেটানো যায়, তার উপায় খোঁজার চেষ্টাতেই আছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই পরিবহন দফতরের কাছ থেকে তথ্য তলব বলেই মনে করা হচ্ছে।